২৫ এপ্রিল, ২০১৫ ২৩:৪০
সাম্প্রতিককালের সবচেয়ে ভয়াবহতম ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা ২ সহস্রাধিক ছাড়িয়ে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। কেবল রাজধানী কাঠমুন্ডুতেই ৫০০'র অধিক মানুষ মারা গেছেন। এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আহত হয়েছেন আরও কয়েক হাজার মানুষ। এদের মধ্যেও অনেকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় আছেন। নিখোঁজ রয়েছেন আরও অনেকেই।
শনিবার দুপুরে রিখটার স্কেলে ৭.৯ মাত্রার এই ভয়াবহ ভূমিকম্পে লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় নেপালের জনপদ। ধ্বসে পড়ে বহু ভবন। রাস্তায় তৈরি হয় বিশাল ফাঁক। নেপালের ঐতিহ্যবাহী অনেক স্থাপনাও ধ্বসে পড়েছে। কান্ডমুন্ড ও পোখরাতে পর্যটকদের আকর্ষণীয় অনেক স্থাপনা ধংস হয়ে গেছে।
বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ক্রমাগত নিহতের সংখ্যা বাড়ছে। সিএনএন,রয়টার্স, এনডিটিভি ইত্যাদি গণমাধ্যম থেকে প্রায় ২ হাজার মানুষের নিহত হবার খবর পাওয়া গেছে।
শনিবার ঘড়িতে ১১.৪১ বাজতেই কোলাহলময় জনপদে নেমে আসে মৃত্যুর এই বিভীষিকা। আনন্দের প্রহর পরিণত হয় মূর্তিমান আতঙ্কে। যেন হুড়মুড়িয়ে ধ্বসে পড়ে প্রাণঞ্চোল নেপাল। মাত্র ১ ঘণ্টর মধ্যে তাসের ঘরের মধ্যে ভেঙে পড়ে মাথা উঁচু করে থাকা বহুতল ভবন। ধুলোয় মিশে যায় ইতিহাসের নানান চিহ্ন। এই মাত্র একঘণ্টার মধ্যেই পাল্টে যায় হিমালয় কন্যা নেপাল , ঐতিহ্যবাহী জনপদের চেহারা। আনন্দের বদলে সেখানে এখন শুধুই লাশের গন্ধ, তীব্র হাহাকার। অবর্ননীয় মানবিক বিপর্যয়।
এদিনে চরম সংকটকালে নেপালের পাশে থাকার ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ সহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রাকৃতিক এই বিপর্যয়ে গভীর শোক জানিয়েছেন, তিনি নেপালকে চিকিৎসা ও মানবিক সাহায্য দেয়ার ঘোষণা দিয়ে একটি দল গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানা যায়।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী প্রতিবেশী নেপালের বিপর্যয়ে মর্মাহত হয়ে পাশে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন। মানবিক এই বিপর্যয়ে নেপালের পাশে থাকার ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট, রাশিয়া সহ বিশ্বের ক্ষমতাধর রাষ্ট্রও
ভিডিও : নেপালে ভয়াবহ ভূমিকম্প
আপনার মন্তব্য