সিলেটটুডে ডেস্ক

২৭ মে, ২০১৭ ১২:১৬

ভারতে জবাইয়ের উদ্দেশ্যে গবাদীপশু কেনাবেচা নিষিদ্ধ

গবাদী পশুর আওতায় গরু, বাছুর, বলদ, ষাঁড়, মহিষ এবং উটকে অন্তর্ভুক্ত করে সব ধরণের গবাদী পশু হাটে-বাজারে জবাইয়ের উদ্দেশ্যে বেচাকেনা নিষিদ্ধ করেছে ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভা।

গো-রক্ষা এবং গোমাংস সংক্রান্ত বিতর্কের মধ্যেই এ ঘোষণা দেয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভা। তবে গবাদী পশুর তালিকার বাইরে রাখা হয়েছে ছাগল ও ভেড়া।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে জানা যায়, এই নির্দেশিকার বিপরীতে ‘অল ইন্ডিয়া মিট অ্যান্ড লাইভস্টক এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন’ এর সচিব বি ডি সবরবালের দাবি করেছে, দেশের মাংস ব্যবসা ভয়ঙ্কর ক্ষতির মুখে পড়বে।

বি ডি সবরবাল দাবি করেন, কসাইখানাগুলি ৯০ শতাংশ গবাদি পশুই কেনে বাজার থেকে। মাংস ব্যবসায় জড়িত বৃহৎ সংস্থাগুলি হয়তো পরিস্থিতি সামলে নিতে পারবে। তবে মাংস কিনতে মুশকিলে পড়বেন গরিব মানুষ এবং ক্ষতিগ্রস্ত হবে চামড়া শিল্প।

যদিও দেশটির সরকারি সূত্রে বলা হচ্ছে, মাংস কেনাবেচায় নিষেধাজ্ঞা আনা সরকারের উদ্দেশ্য নয়। নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে পশুপালকদের কাছ থেকে মাংসের জন্য পশু কেনা যাবে। কিন্তু হাটে-বাজারে গবাদি পশু কিনে জবাই করা চলবে না।

ভারতের কেন্দ্রীয় বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের মঙ্গলবারের ওই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, কৃষির প্রয়োজন ছাড়া গবাদি পশু বাজার থেকে কেনাবেচা করা যাবে না। এখন থেকে ক্রেতাকে প্রমাণ দিতে হবে তিনি কৃষিজীবী, কৃষির প্রয়োজনে পশু কিনছেন। এবং বিক্রেতাকে লিখিতভাবে জানাতে হবে, জবাইয়ের জন্য পশুটিকে বিক্রি করা হচ্ছে না। ক্রেতা এবং বিক্রেতা দু’জনকেই তাদের সচিত্র পরিচয়পত্র দিতে হবে। পশু বাজারের নিয়ন্ত্রকরা সেগুলি খতিয়ে দেখে তবে অনুমোদন দেবেন।

বাজার বসার ক্ষেত্রেও বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। এত দিন পর্যন্ত বেশিরভাগ রাজ্যেই এ ধরনের বহু বাজার বসত সীমানা এলাকায়, যাতে পড়শি রাজ্যের লোকেরাও তাতে অংশ নিতে পারেন। তবে নতুন নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, দুই রাজ্যের সীমানা থেকে ২৫ কিলোমিটার এবং সীমান্ত থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে পশুর বাজার বসাতে হবে। সীমান্তে পশুপাচার ঠেকাতেই এই পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত