সিলেটটুডে ডেস্ক

২৫ জুন, ২০১৭ ২৩:২৫

হিন্দি চাপানোর প্রতিবাদে ভারতের কয়েকটি রাজ্যে আন্দোলনের হুমকি

হিন্দিকে ভারতের ‘জাতীয় ভাষা’ বলায় প্রবল সমালোচনার মুখে পড়েছেন কেন্দ্রীয় তথ্যমন্ত্রী ভেঙ্কাইয়া নাইডু। দক্ষিণ রাজ্যগুলোতে হিন্দি ভাষার ব্যবহার নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক বেশ কিছুদিন আগে থেকেই। কয়েকটি রাজনৈতিক আন্দোলনে নামার হুমকিও দিয়েছে।

এর মধ্যে শনিবার কেন্দ্রীয় তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী এম. ভেঙ্কাইয়া নাইডু বলেন, ‘হিন্দি আমাদের জাতীয় ভাষা। হিন্দি ছাড়া আমারা প্রগতির পথে এগোতে পারবো না।’ বর্তমান যুব সমাজের ইংলিশ-প্রীতি নিয়েও মন্তব্য করেন নাইডু। তিনি বলেন, ‘আমি ইংলিশের বিরোধী নই। কিন্তু, চাকরির জন্য আজকাল সবাই ইংলিশে জোর দিচ্ছে। সমস্যা হল, এর জেরে তাঁদের মানসিকতাও পালটে যাচ্ছে। এটাই দুঃখজনক বিষয়।’

এদিকে দক্ষিণের রাজ্যগুলোতে হিন্দি ভাষা ব্যবহারের প্রতিবাদে কর্নাটক জনতা দল, তামিলনাড়ুর DMK ইতিমধ্যেই আন্দোলনের হুমকি দিয়েছে। DMK নেতা এম কে স্ট্যালিন হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ‘তামিলনাড়ুর কোনও রাস্তায় হিন্দি লেখা দেখলেই, তীব্র আন্দোলন হবে।’ বেঙ্গালুরুতে একটি মেট্রো স্টেশনে হিন্দি সাইনবোর্ড নিয়েও বিতর্ক চলছে। কন্নড়দের অভিযোগ, ‘ধীরে ধীরে তাদের ওপর হিন্দি ভাষা চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে দিল্লি’।

অবশ্য চলতি বছরেই সাংসদ ও মন্ত্রীদের সরকারি কাজে হিন্দি ব্যবহারকে বাধ্যতামূলক করে একটি সুপারিশ পেশ করে কেন্দ্র। যাতে সম্মতি দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ও।

উল্লেখ্য, সংবিধান অনুযায়ী দেবনগরী হরফে লেখা হিন্দি ভারতের প্রথম সরকারি (কাজের ক্ষেত্রে) ভাষা, জাতীয় ভাষা নয়। ইংলিশ দ্বিতীয় সরকারি ভাষা। কিন্তু ভেঙ্কাইয়া নাইডুর মতো একজন বর্ষীয়ান রাজনীতিক ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কেন হঠাৎ হিন্দিকে জাতীয় ভাষা বললেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহলে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত