সিলেটটুডে ডেস্ক

২৯ জুন, ২০১৭ ২৩:৩০

গরুর মাংস বহনের অভিযোগে ভারতে একজনকে পিটিয়ে হত্যা

ভারতের ঝাড়খণ্ডে গরুর মাংস বহনের অভিযোগে বৃহস্পতিবার এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। নিহত ব্যক্তির নাম আলিমুদ্দিন ওরফে আজগর আনসারি। ওই সময় তার গাড়িও আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়।

উত্তেজিত জনতার অভিযোগ, ঝাড়খন্ডে গরুর মাংস বিক্রি নিষিদ্ধ। আলিমুদ্দিন গরুর মাংস কিনে মারুতি গাড়িতে করে বাড়ি ফিরছিলেন। খবর পেয়ে তারা তাকে আটক করে গাড়িতে গরুর মাংস পায়; তাই তাকে তারা পিটিয়েছ।

গুরুতর আহত অবস্থায় আলিমুদ্দিনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

এদিকে এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, গো-রক্ষার নামে মানুষ হত্যা মেনে নেওয়া যায় না বলে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সকালে জানিয়ে দেওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই দুপুরে ঝাড়খণ্ডের রামগড় জেলার নয়াসরাই গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নরেন্দ্র মোদি তার বক্তব্যে মহাত্মা গান্ধীর অহিংস নীতির পক্ষে নিজের অবস্থান তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘গো-রক্ষার অর্থ কি একজন মানুষকে খুন করা? কখনোই নয়। অহিংস নীতিই আমাদের পাথেয়।’ গো-রক্ষার নামে হিংসাত্মক পথ বেছে না নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি। তার ভাষায়, ‘গো-রক্ষার কথা মহাত্মা গান্ধী বা আচার্য বিনোবা ভাবের চেয়ে বেশি আর কেউ বলেননি। কিন্তু তারা কোনোভাবেই এসব কর্মকাণ্ড সমর্থন করতেন না।’

ভারতে বেশ কয়েক দিন ধরেই গরুর মাংস বিতর্ক চলছে। গরুর মাংস বহন করছে—এমন অভিযোগে বেশ কয়েকটি হামলার ঘটনা ঘটেছে। এর সঙ্গে জড়িত হিসেবে মোদির দল বিজেপি ও পক্ষের কট্টর হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলোর নাম আসছে। তারপরও প্রধানমন্ত্রী কোনো বক্তব্য না দেওয়ায় সমালোচনার ঝড় বইছিল। এই পরিস্থিতিতে মোদির বক্তব্য, গো-রক্ষার নামে আইন নিজের হাতে তুলে নিলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত