সিলেটটুডে ডেস্ক

০৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ২৩:৫৪

১০ দিনে ৮৭ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানের মুখে গণহত্যা-গণধর্ষণ-নির্যাতন থেকে বাঁচতে গত ১০ দিনে প্রায় ৮৭ হাজার রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।

জাতিসংঘের পক্ষ থেকে সোমবার শরণার্থীদের এ সংখ্যার কথা জানানো হয়েছে।

রাখাইনে এর আগে গত বছরের অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত ছয় মাস ধরে চলা সেনা-অভিযান চলাকালে অন্তত ৮৭ হাজার রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছিল।

গত ২৫ অগাস্ট নতুন করে রাখাইনে সহিংসতা শুরু হওয়ার পরে ১০ দিনেই বাংলাদেশে আগত শরণার্থীর সংখ্যা গতবারের সংখ্যাকে ছুঁয়ে গেলো।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়, এই বিশালসংখ্যক শরণার্থীদের ন্যূনতম চাহিদা পূরণে হিমশিম খাচ্ছে বিভিন্ন দাতা সংস্থা। রোহিঙ্গারা বর্তমানে একটি বড় মানবিক বিপর্যয়ের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে আছে।

২৫ অগাস্ট রাখাইন রাজ্যের কয়েকটি পুলিশ ফাঁড়ি ও একটি সেনা ক্যাম্পে রোহিঙ্গা-বিদ্রোহীদের হামলার অভিযোগে মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও বিজেপি নতুন করে রোহিঙ্গা বিতাড়ন অভিযান শুরু করে।

রাখাইন প্রদেশে সপ্তাহব্যাপী এই অভিযানে ২ হাজার ৬২৫টি বাড়িঘর পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। মিয়ানমার সরকারের হিসাবে ৪০০ রোহিঙ্গা নিহত হয়েছে। তবে পলায়নরত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মতে সংখ্যাটা কয়েক হাজার হতে পারে।

মিয়ানমারে জাতিসংঘ ও অন্যান্য দাতব্য সংস্থাসহ গণমাধ্যম কর্মীরা প্রবেশ করতে পারে না বলে সঠিক তথ্য জানা সম্ভব হচ্ছে না।

মিয়ানমার সরকার বাড়িঘর পোড়ানো ও বেসামরিক লোক হত্যার জন্য রোহিঙ্গা স্বাধীনতাকামীদের দায়ী করছে।

কিন্তু বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা ও বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা বলছে, মিয়ানমারের সেনাবাহিনী এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাগুলো ঘটাচ্ছে এবং বাড়িঘর পুড়িয়ে দেয়া ও হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে তারা রোহিঙ্গাদের পুরোপুরি বিতাড়িত করার চেষ্টা করছে।

বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ মিয়ানমারে সংখ্যালঘু ১১ লাখ রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমার সরকারের এ বিতাড়ন-নীতি নিয়ে বিশ্বজুড়ে সমালোচনার শিকার হচ্ছেন মিয়ানমারের ডি ফ্যাক্টো লিডার অং সান সুচি। পশ্চিমা সমালোচকরা অভিযোগ তুলছেন, দীর্ঘ সময় ধরে নিপীড়নের শিকার হওয়া এই সংখ্যালঘুদের পক্ষে কথা বলছেন না সুচি।

মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ যেমন বাংলাদেশ, তুরস্ক, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া ও পাকিস্তানের তরফ থেকে বেশ কূটনৈতিক চাপের মধ্যে আছেন মিয়ানমারের নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী নেত্রী অং সান সুচি।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত