সিলেটটুডে ডেস্ক

০৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ০১:০৮

চ্যান্সেলর নির্বাচন: টিভি বিতর্কে শুলজের চেয়ে এগিয়ে ম্যার্কেল

আগামি ২৪ সেপ্টেম্বর জার্মানির পার্লামেন্ট নির্বাচন। চ্যান্সেলর পদপ্রার্থী প্রধান দুই প্রার্থী বর্তমান চ্যান্সেলর ও ক্ষমতাসীন ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্রেটিক ইউনিয়ন দলের সভানেত্রী চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল এবং সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক দলের অন্যতম নেতা ও ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সাবেক সভাপতি মার্টিন শুলজ গত রোববার রাতে সরাসরি টিভি বিতর্কে অংশ নেন।

২৪ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠেয় এ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বার্লিনে সমাজের নানা স্তরের আট শ দর্শকের উপস্থিতিতে এই বিতর্ক জার্মানিজুড়ে কয়েক কোটি মানুষ টেলিভিশনের পর্দায় অবলোকন করেন। টিভি বিতর্কে তাৎক্ষণিক জনমত যাচাই জরিপে আঙ্গেলা ম্যার্কেল কিছুটা এগিয়ে রয়েছেন প্রতিদ্বন্দ্বী মার্টিন শুলজের চেয়ে।

ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্রেটিক ইউনিয়ন ও সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টি—জার্মানির বৃহত্তম ও জনপ্রিয় এই দুই দল চার বছর ধরে যৌথভাবে সরকার পরিচালনা করলেও জার্মানির ২৪ সেপ্টেম্বরের ১৯তম পার্লামেন্ট নির্বাচনকে ঘিরে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে যুক্তি, পাল্টা যুক্তি এবং বিভিন্ন বিষয়ে ভোটারদের কাছে টানতে নতুন প্রস্তাবের কথা বলছে।

৯৭ মিনিটের এই বিতর্কে শরণার্থী, অভিবাসী পেনশন, জার্মানি-তুরস্ক সম্পর্ক, সামাজিক বৈষম্য, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, মোটর শিল্পে সাম্প্রতিক সমস্যা প্রভৃতি বিষয় নিয়ে চারজন সাংবাদিক চ্যান্সেলর পদের দুই প্রার্থীকে প্রশ্ন করেন।

চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলকে প্রতিদ্বন্দ্বী মার্টিন শুলজ ২০১৫ সালে শরণার্থী বিষয়ে অন্য ইউরোপীয় প্রতিবেশীদের সঙ্গে আলোচনা না করেই হাঙ্গেরিতে অবস্থানরত শরণার্থীদের জার্মানিতে প্রবেশের প্রশ্নে সমালোচনা করেন। ম্যার্কেল বলেন, ওই সময়টি ছিল নাজুক ও নাটকীয়, মানবিক কারণেই শরণার্থীদের গ্রহণ করা হয়েছিল।

আন্তর্জাতিক রাজনীতির ক্ষেত্রে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে আগ্রাসী ও উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে সমঝোতা প্রশ্নে ট্রাম্পকে ভুল রাজনীতিক বলে আখ্যা দেন মার্টিন শুলজ। তুরস্কের সঙ্গে জার্মানি ও ইউরোপের চলমান রাজনৈতিক সংকটে আরও কঠোর হওয়ার কথাও ব্যক্ত করেন তিনি।

সামাজিক খাতে পরিবারগুলোর জন্য খাজনা হ্রাসের প্রস্তাবের কথা বলেছেন শুলজ। তবে আঙ্গেলা ম্যার্কেল ভবিষ্যতে পরিবারগুলোর জন্য খাজনা কিছুটা হ্রাস করবেন বললেও তার পরিমাণের বিষয়ে কিছু উল্লেখ করেননি।

দুই প্রার্থীর টিভি বিতর্কের পর জার্মানির অন্যতম টেলিভিশন চ্যানেল এআরডি জানায়, বিতর্কে চ্যান্সেলর ম্যার্কেল পেয়েছেন ৫৫ শতাংশ আর মার্টিন শুলজ পেয়েছেন ৩৫ শতাংশ সমর্থন। অপর প্রধান টিভি চ্যানেল জেডডিএফ জানিয়েছে, ম্যার্কেল পেয়েছেন ৩২ শতাংশ আর শুলজ পেয়েছেন ২৯ শতাংশ সমর্থন।

জার্মানির ১৯তম পার্লামেন্ট নির্বাচনে সর্বমোট ৪২ দল অংশ নিলেও মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে ক্ষমতাসীন কোয়ালিশন দলের দুই প্রধান শরিক ক্ষমতাসীন ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্রেটিক ইউনিয়ন দল এবং সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক দলের মধ্য।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত