সিলেটটুডে আন্তর্জাতিক ডেস্ক

০৭ অক্টোবর, ২০১৭ ১০:১৭

ফের উত্তপ্ত দার্জিলিং

১০৭ দিন ধরে দার্জিলিংয়ে চলা অনির্দিষ্টকালের বন্‌ধ্‌ গত ২৭ সেপ্টেম্বর প্রত্যাহার করে নিয়েছিল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার নেতা বিমল গুরুং। এর আগে জনমুক্তি মোর্চার বিদ্রোহী নেতা বিনয় তামাংও অনির্দিষ্টকালের বন্‌ধ্‌ প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন।

দুই নেতার বন্‌ধ্‌ প্রত্যাহার করার পর ধীরে ধীরে দার্জিলিং স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছিল। বৃহস্পতিবার একটি ঘটনার পর ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে দার্জিলিং।

বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) দার্জিলিংয়ের একটি বিজয় সম্মিলনীতে যোগ দিতে গিয়ে মারধরের শিকার হন বিজেপির পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির সভাপতি দিলীপ ঘোষসহ দলের অন্য নেতা-কর্মীরা। দিলীপ ঘোষ অভিযোগ করেন, তৃণমূলের সমর্থনে বিনয় তামাংয়ের লোকজনই ওই হামলা চালিয়েছে।

এই ঘটনার পর বিজেপি আন্দোলন শুরু করেছে সেখানে। রাজ্যজুড়ে চলছে প্রতিবাদ মিছিল। অপরাধীদের গ্রেপ্তারের দাবি উঠেছে।

পুলিশকে এলাকায় ঢুকতে না দেওয়ার জন্য দার্জিলিংয়ের পাতলেবাস থেকে পিংলা সড়কের ১২ কিলোমিটার পথের মধ্যে তিনটি জায়গায় রাস্তা কেটে দেওয়া হয়েছে। বিনয় তামাংরা এই রাস্তা কাটার জন্য দায়ী করেছে বিমল গুরংয়ের সমর্থকদের। এতে এসব ঘটনায় ফের উত্তপ্ত হয়ে পড়েছে দার্জিলিংয়ের রাজনীতি।

পৃথক গোর্খাল্যান্ড রাজ্যের দাবিতে গত ১২ জুন থেকে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা দার্জিলিংজুড়ে আন্দোলন শুরু করে। আন্দোলনকে ঘিরে জনমুক্তি মোর্চার কয়েকজন সমর্থক মারা যায়। পাহাড় হয়ে পড়ে অশান্ত। চলে বিভিন্ন অফিস ও যানবাহনে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ।

এর পরিপ্রেক্ষিতে বিমল গুরুংসহ জনমুক্তি মোর্চার কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলা হয়। মামলার জেরে বিমল গুরুং আত্মগোপন করেন। জনমুক্তি মোর্চার অন্যতম নেতা বিনয় তামাং বিমল গুরুংয়ের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ডাকে বন্‌ধ্‌ প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন।

রাজ্য সরকারও বিনয় তামাংকে দার্জিলিংয়ের স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা জিটিএর চেয়ারম্যান করেন। এতে ভাগ হয়ে যায় জনমুক্তি মোর্চা। একদিকের নেতৃত্ব দেয় বিনয় তামাং ও অন্যদিকের নেতৃত্বে থাকেন বিমল গুরুং।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত