নিউজ ডেস্ক

১৬ জানুয়ারি, ২০১৫ ১০:৫০

‘গো ইমরান গো’

ইমরানকে স্কুলের ভিতরে ঢুকতেই দেননি তাঁরা।সস্ত্রীক ইমরানকে দেখমাত্র স্লোগান ওঠে। বাবা মায়েরা তাঁকে ‘গো ইমরান গো’-লেখা প্ল্যাকার্ড দেখান।

পেশোয়ারের সেনা-স্কুলে জঙ্গি হামলার ঘটনার প্রায় এক মাস পূর্ণ হতে চলেছে । তালিবানি রক্তচক্ষুর তোয়াক্কা না করে গত পরশু আবার নতুন উদ্যমে চালু হয়েছে ওই স্কুল আজ সেই স্কুলের পড়ুয়াদের পাশে দাঁড়াতে সেখানে হাজির হন সস্ত্রীক ইমরান খান।কিন্তু সদ্য বিয়ে করা স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে সেখানে পৌঁছতেই তালিবানি হামলায় হতাহত পড়ুয়াদের বাবা-মায়েদের বিদ্রূপ, কটাক্ষ শুনতে হল তাঁকে।রেহাই পেলেন না তাঁর  স্ত্রী রেহামও। বিক্ষোভে ফেটে পড়েন অভিভাবকরা।ইমরানকে স্কুলের ভিতরে ঢুকতেই দেননি তাঁরা।সস্ত্রীক ইমরানকে দেখমাত্র স্লোগান ওঠে। বাবা মায়েরা তাঁকে ‘গো ইমরান গো’-লেখা প্ল্যাকার্ড দেখান। তাঁদের অভিযোগ, বিয়ে নিয়ে এতই ব্যস্ত ছিলেন ইমরান যে, এতদিন বাদে এলেন মৃতদের নিয়ে রাজনীতি করতে!

 

এক অভিভাবক বলে ওঠেন, কিছুতেই আমাদের মৃত সন্তানদের নিয়ে ইমরানকে রাজনীতি করতে দেব না অন্য এক অভিভাবক বলেন, উনি কি করে আসবেন, উনি তো টিভি উপস্থাপক রেহামকে বিয়েতেই ব্যস্ত ছিলেন।। ইমরানের বিরূদ্ধে একরাশ অবজ্ঞা, ঘৃণা উগরে দেন তাঁরা ।  এক মৃত ছাত্রের মা কাঁদতে কাঁদতে বলেন, সন্তানরা যখন মারা গেল, তখন কিচ্ছু করেননি ইমরান, এখন এসেছেন সহানুভূতি দেখাতে! ।কয়েকজন ইমরানকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আমাদরে সন্তানদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে রাজনীতি  করবেন না!  

ইমরানের দল তেহরিক-ই-ইনসাফের অন্যান্য নেতারাও এদিন হাজির হয়েছিলেন ওই স্কুলে ।বিক্ষুব্ধ জনতা তাঁদের স্কুলের ভিতরে ঢুকতে বাধা দেন। ।স্কুলে ঢোকার মূল  দরজা বন্ধ করে রাখেন তাঁরা পুলিশের সঙ্গে তাঁদের ধাক্কাধাক্কি হয়। ।পরে পিছনের দরজা দিয়ে ঢুকে পড়ুয়াদের সঙ্গে দেখা করেন ইমরান।

তবে বিক্ষোভের মুখে ধৈর্য্যচুতি ঘটেনি প্রাক্তন পাক তারকা ক্রিকেট অধিনায়কের।তিনি অভিভাবকদের  প্রতিবাদকে সম্মান করছেন বলে জানিয়ে ইমরান বলেন, ওঁদের যন্ত্রণা আমি অনুভব করতে পারছি।সন্তান হারিয়েছেন ওঁরা।২০১৩-এ ক্ষমতায় আসার পর ওই এলাকার মানুষের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ইমরান । কিন্তু তাঁর এইধরণের আচরনে বীতশ্রদ্ধ ওই পাশবিক ঘটনার বলি- শিশুদের মা-বাবারা

আপনার মন্তব্য

আলোচিত