নিজস্ব প্রতিবেদক

২২ জানুয়ারি, ২০১৫ ০৯:২৭

তারকা বহর নিয়ে ১৯ ফেব্রুয়ারি ঢাকা আসবেন মমতা

ওপার বাংলার বড় বড় তারকাদের বিশাল বহর নিয়ে ১৯ ফেব্রুয়ারি ঢাকা আসবেন মমতা বন্দোপাধ্যায় । এখন পর্যন্ত যা খবর তাতে সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ফেব্রুয়ারির ১৯ তারিখে বাংলাদেশে সফরে আসছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী


ওপার বাংলার বড় বড় তারকাদের বিশাল বহর নিয়ে ১৯ ফেব্রুয়ারি ঢাকা আসবেন মমতা বন্দোপাধ্যায় । এখন পর্যন্ত যা খবর তাতে  সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ফেব্রুয়ারির ১৯ তারিখে বাংলাদেশে সফরে আসছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী।  তাঁর সফরসঙ্গীদের তালিকা যেকারো চোখ কপালে তোলার মত ।
 
সূত্রের খবর অনুযায়ী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে ৩৭ জনের নাম পাঠানো হয়েছে। সবচেয়ে বড় চমক, এই দলে থাকতে চলেছেন সাবেক তৃণমূল সংসদ সদস্য কবীর সুমন। কবীর সুমনের সাথে মমতা দূরত্ব তৈরি হয়েছে বেশ অনেক দিন থেকে । তবে শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ বলেই নাকি কবীর সুমন আসতে মানা করেননি ।
যদিও এর আগে কবির সুমন বাংলাদেশ যেতে পারবেন না বলে পশ্চিমবঙ্গের সংবাদ মাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছিলো ।

এছাড়া সফরে থাকছেন সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়, সংসদ সদস্য ও চিত্রনায়ক দেব,  মুনমুন সেন ও প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের মতো মেগা স্টাররা। আরও থাকছেন প্রযোজক শ্রীকান্ত মোহতা, পরিচালক গৌতম ঘোষ, গায়ক নচিকেতার চক্রবর্তী সঙ্গে থাকছেন কবি সুবোধ সরকার, শান্তনু মহারাজ, কল্যাণী কাজী, ইন্দ্রনীল সেন, সৌমিত্র রায়, শিবাজি পাঁজার মতো পরিচিত শিল্পী সাহিত্যিকরা।

পর্যটনমন্ত্রী ব্রাত্য বসু, পৌর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ঢাকা যাবেন বলে সূত্রের মাধ্যমে খবর পাওয়া গেছে।

আরও জানা যায়, শিল্পপতিদের মধ্যে যাচ্ছেন সঞ্জীব গোয়েঙ্কা, হর্ষ নেওটিয়া। এছাড়াও মুখ্য সচিব সঞ্জয় মিত্র, মুখ্যমন্ত্রীর সচিব গৌতম সান্যাল, মাঝারি ও ক্ষুদ্রশিল্প দপ্তরের সচিব রাজীব সিনহা।

থাকবেন বেশ কয়েকজন সাংবাদিকও। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুমতি পেলেই সরকারিভাবে ঘোষণা করা হবে চূড়ান্ত তালিকা। চারদিনের সফরে ১৯ ফেব্রুয়ারি মুখ্যমন্ত্রী ঢাকায় হাজির হবেন। ২১শে ফ্রেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে দুই বাংলার তারকাদের মিলনমেলার আয়োজনও নাকি করা হচ্ছে ।

তিস্তা চুক্তি নিয়ে মমতার আপত্তি এবং সম্প্রতি তৃণমূল সাংসদের সাথে জামায়াত সংশ্লিষ্টতার খবরে আ.লীগ সরকারের সাথে মমতার সম্পর্কের অবনতি হয় । ধারনা করা হচ্ছে সারদা কেলেংকারিতে বিপাকে পড়া মমতা  সম্পর্কের উন্নতি ঘটাতেই ফের উদ্যোগ নেবেন । হতে তিস্তা চুক্তির ব্যাপারে চূড়ান্ত আগ্রগতি । ভারতের কেন্দ্রিয় সরকারও চাইছে যত দ্রুত তিস্তা চুক্তি ও ছিটমহল বিনিময়ের মত অমিমাংসিত ইস্যুগুলো সমাধান করে বাংলাদেশ সরকারের সাথে সুম্পর্ক বজায় রাখতে ।

খুব শীঘ্রই আনুষ্ঠানিকভাবে সব শিডিউল ঘোষণা দেয়া হতে পারে।





আপনার মন্তব্য

আলোচিত