সিলেটটুডে ডেস্ক

০৬ জানুয়ারি, ২০২০ ১৫:২৯

অস্ট্রেলিয়ায় বৃষ্টির জন্য নামাজ, অংশ নিলেন খ্রিস্টানরাও

অস্ট্রেলিয়ায় কয়েকমাস ধরে চলা ভয়াবহ দাবানলে ভুগছে সাধারণ মানুষ ও বন্যপশুপ্রাণি। এ থেকে পরিত্রান পেতে রোববার অ্যাডিলেডের বোনিথন পার্কে নামাজের আয়োজন করেছিল স্থানীয় মুসলিম সম্প্রদায়, তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষও। খবর খালিজ টাইমস, ডেইলি মেইল

খবরে বলা হয়েছে, একদল মুসলিম দাবানল সঙ্কট থেকে উত্তোরণে সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করতে জমায়েত হয়েছিলেন ওই পার্কে। অর্ধশতাধিক পুরুষ, নারী এবং শিশু জড়ো হয়ে নামাজ আদায় করে হাত তুলে বৃষ্টির জন্য দোয়া করেন।

‘সেন্টার ফর খ্রিস্টান এবং মুসলিম রিলেশনস’ এর পক্ষ থেকে এই প্রার্থনায় যোগ দিয়েছিলে পাদ্রী প্যাটরিক ম্যাকনেরনি। তিনি বলেন, ‘ আজকে আমি আমার মুসলিম ভাইবোনদের সঙ্গে বৃষ্টির জন্য এই প্রার্থনায় যোগ দিয়েছি। আমার বন্ধু প্রফেসর মোহাম্মদ আবদুল্লাহ খুতবা দিয়েছেন। তিনি খুতবায় সৃষ্টিকর্তার ওপর বিশ্বাস ও তওবার ওপর জোর দিয়েছেন।’

গেল শনিবার দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার ক্যাঙ্গারু দ্বীপে ডিক ল্যাং নামে ৭৮ বছর বয়সী এক বৃদ্ধ এবং ৪৩ বছর বয়সী তার ছেলে অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা গেছেন। এরপরদিনই বৃষ্টির জন্য এই প্রার্থনার আয়োজন করা হয়। এই বাবা-ছেলে তাদের বাড়ি রক্ষার জন্য দাবানলের আগুনের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সেখানে চলে গিয়েছিলেন। আগুনের ফাঁদে পড়ে আর ফিরতে পারেননি। তাদের করুণ মৃত্যুতে দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ায় শোক নেমে এসেছে। দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়া প্রধান স্টিভেন মার্শাল বলেছেন, মৃত্যু সবসময়ই করুণ। আমরা নিহতদের পরিবারকে গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।

এদিকে রোববার থেকে অস্ট্রেলিয়ার তাপমাত্রা কিছুটা কমেছে। তবে দেশটির আবহাওয়াবিদরা সতর্ক করে বলেছেন, আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে তাপমাত্রা বাড়তে পারে।

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নিউ সাউথ ওয়েলসের পূর্বাঞ্চলের সিডনি থেকে মেলবোর্ন পর্যন্ত হালকা বৃষ্টিপাত হয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি স্থানে মুষলধারে বৃষ্টি হয়েছে।

যেসব স্থানে আগুন জ্বলছে সেগুলো কিছু কিছু অংশে ২৪ ঘণ্টায় ১৫ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

কিছুটা স্বস্তির বৃষ্টিতে দক্ষিণ উপকূলীয় শহরগুলো থেকে ঘর ছেড়ে যাওয়া বাসিন্দারা ফিরতে শুরু করেছেন। সিডনি মর্নিং পত্রিকার খবরে বলা হয়েছে, বেগা, বারমাগুই, তাতরা, মেরিমবুলা, পামবুলা এবং ইডেন শহর থেকে দাবানলের ফলে ঘর ছেড়ে যাওয়া মানুষরা ফিরে আসছেন। নিউ সাউথ ওয়েলস ফায়ার সার্ভিসের মুখপাত্র মার্টি ওয়েববার বলেছেন, বৃষ্টির ফলে তাপমাত্রা কিছুটা কমেছে। তাই ওই এলাকার বাসিন্দাদের ঘরে ফিরতে দেওয়া হয়েছে।

তবে তিনি সতর্ক করে বলেছেন, ‘আমরা এখনো শঙ্কামুক্ত নই; কিন্তু বিভিন্ন স্থানে লাগা আগুনগুলো কিছু প্রশমিত হয়েছে। এটা আমাদের অগ্নি নির্বাপনের কাজকে সহজ করেছে।’

আপনার মন্তব্য

আলোচিত