সিলেটটুডে ডেস্ক

১৪ নভেম্বর, ২০২৩ ১১:৫৭

যু দ্ধা প রা ধ: শামসুলের সাজা কমে আমৃত্যু থেকে ১০ বছর

একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের `মামলায় জামালপুরের শামসুল হকের আমৃত্যু কা রা দ ণ্ড থেকে কমিয়ে ১০ বছরের কা রা দ ণ্ডদেশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

আমৃত্যু কা রা দ ণ্ডর রায় থেকে খালাস চেয়ে আপিল খারিজ করে মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ৬ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।

সহকারী এটর্নি জেনারেল মোহাম্মাদ সাইফুল আলম গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, শামসুল হকের সাজা আমৃত্যু কা রা দ ণ্ড থেকে কমিয়ে ১০ বছর করা হয়েছে।

আদালতে আসামিপক্ষে উপস্থিত ছিলেন ব্যারিস্টার এহসান এ. সিদ্দিক। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।

এর আগে শামসুল হককে আমৃত্যু কা রা দ ণ্ড দিয়ে ২০১৬ সালের ১৮ জুলাই রায় দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। রায়ে তিন আসামিকে মৃ ত্যু দ ণ্ড ও পাঁচ আসামিকে আমৃত্যু কা রা দ ণ্ড দেওয়া হয়।

আসামিদের বিরুদ্ধে হ ত্যা, গণহ ত্যা, আটক, অ প হ র ণ, নির্যাতন, লুটপাট ও মরদেহ গুমের পাঁচটি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়। এসব অভিযোগের মধ্যে ১ ও ৫ নম্বর বাদে বাকি তিনটি প্রমাণিত হওয়ায় এসব সাজা দেয় ট্রাইব্যুনাল।

মৃ ত্যু দ ণ্ডদেশ পাওয়া আসামিরা হলো— জামালপুরে আশরাফ হোসাইন, আবদুল মান্নান ও আবদুল বারী। আর আমৃত্যু কা রা দ ণ্ড দেওয়া হয় ইসলামী ব্যাংকের সাবেক পরিচালক শরীফ আহম্মেদ ওরফে শরীফ হোসেন, হারুন, আবুল হাশেম, মো. শামসুল হক ওরফে বদর ভাই ও এস এম ইউসুফ আলীকে।

দণ্ডিতদের মধ্যে কেবল শামসুল ও ইউসুফ কারাগারে ছিলেন। রায় ঘোষণার সময় তাদের ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছিল। অন্য ছয়জনকে পলাতক দেখিয়ে এ মামলার বিচার শেষ করা হয়। পরে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন শামসুল ও ইউসুফ। তবে আপিল বিচারাধীন অবস্থায় ইউসুফের মৃত্যু হয়।

চলতি বছরের ১২ জুলাই তার আপিলের ওপর শুনানি শুরু হয়। এরপর গত ১৮ অক্টোবর শুনানি শেষ হয়। পরে গত ১৮ অক্টোবর আপিল বিভাগ এ মামলায় শুনানির শেষে রায়ের জন্য ৭ নভেম্বর দিন ঠিক করে দিলেও পরে সেটি পিছিয়ে আজকের দিন ধার্য করা হয়।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত