সিলেটটুডে ডেস্ক

১৭ মে, ২০২০ ২২:০৯

প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে আমফান

বঙ্গোপসাগরে অবস্থান নেওয়া গভীর নিম্নচাপটি রোববার বিকেল থেকে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। এর কেন্দ্রে বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ১১৭ কিলোমিটার। তবে এখনো উপকূলের দিকে তার আগ্রাসী অগ্রযাত্রা শুরু করেনি আমফান।

রোববার (১৭ মে) সন্ধ্যায় এক বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রে ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৮৯ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া আকারে ১১৭ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর প্রচণ্ড রকমের উত্তাল হয়ে উঠছে।

এবারের ঘূর্ণিঝড়টির নাম রাখা হয়েছে ‘আমফান’।

এর প্রভাবে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারী সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরা নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে, যাতে জরুরি বার্তায় অল্প সময়ে তারা নিরাপদ আশ্রয়ে ফিরে আসতে পারেন। সেই সঙ্গে তাদের গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এটি আজ বিকেল ৩টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৩২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ২৬০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ২৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ২৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও ঘনীভূত হয়ে উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।

এদিকে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, ঘূর্ণিঝড় আমফান আজ দিনের ১২ ঘণ্টায় উপকূলের দিকে ৪৫ কিলোমিটার এগিয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের আমফান সংক্রান্ত বিশেষ বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা যায়।

এদিকে রোববার দুপুরে সচিবালয়ে ঘূর্ণিঝড় আমফান মোকাবিলায় সরকারের প্রস্তুতি বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. এনামুর রহমান বলেছেন, ‘১৯ মে দিবাগত রাতে ঘূর্ণিঝড় ‘আমফান’ বাংলাদেশের উপকূলীয় জেলাগুলোতে আঘাত হানতে পারে।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আবহাওয়া অধিদপ্তরের পর্যালোচনা অনুযায়ী যদি ঘূর্ণিঝড় আমফান তার গতি ও দিক পরিবর্তন না করে তাহলে আগামী ১৯ মে দিবাগত রাতে বাংলাদেশের উপকূলীয় জেলা সমূহ আঘাত হানতে পারে। ঘূর্ণিঝড় আমফান মোকাবিলায় সরকারের প্রস্তুতি রয়েছে। উপকূলীয় জেলা সমূহের সাইক্লোন শেল্টার সমূহ প্রস্তুত রাখার জন্য ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসকদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত