১১ জুন, ২০২০ ২২:৫৩
২০২০-২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) মোকাবিলায় জরুরি চাহিদা মেটাতে ১০ হাজার কোটি টাকা থোক বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল তার বাজেট বক্তৃতায় এ প্রস্তাব রাখেন।
বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেন, 'কোভিড-১৯ মোকাবিলায় স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের আওতায় বর্তমানে সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকার বিশেষ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এছাড়া আগামী অর্থবছরে কোভিড-১৯ মোকাবিলায় যে কোনো জরুরি চাহিদা মেটানোর জন্য ১০ হাজার কোটি টাকা থোক বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে।'
প্রস্তাবিত বাজেটে স্বাস্থ্যখাতে মোট বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৪১ হাজার ২৭ কোটি টাকা। গত অর্থবছরে (২০১৯-২০) এই খাতে বরাদ্দ ছিল ২৯ হাজার ৪৬৪ কোটি টাকা।
বিজ্ঞাপন
তিনি আরও বলেন, 'কোভিড-১৯ মহামারি মোকাবিলায় জরুরি পদক্ষেপ হিসেবে দু'টি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। একটি হচ্ছে বিশ্ব ব্যাংকের সহায়তায় এক হাজার ১২৭ কোটি টাকা ব্যয়ে 'কোভিড-১৯ ইমারজেন্সি রেসপন্স অ্যান্ড প্যান্ডামিক প্রিপারেডনেস' শীর্ষক প্রকল্প এবং অপরটি এশিয় উন্নয়ন ব্যাংকের সহায়তায় এক হাজার ২৬৬ কোটি টাকা ব্যয়ে 'কোভিড-১৯ রেসপন্স ইমারজেন্সি অ্যাসিসটেন্স' শীর্ষক প্রকল্প। এ দু'টি প্রকল্পের বাস্তবায়ন ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। ফলে কোভিড মোকাবিলায় আমাদের সক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া এশিয়ান ইনফ্রাস্টাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক (এআইআইবি), কোরিয়া সরকারসহ অন্যান্য উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে প্রাপ্ত সহায়তায় প্রকল্প চূড়ান্ত করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে সংসদের অধিবেশন শুরুর পর স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর অনুমোদনক্রমে প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী। এটি দেশের ৪৯তম এবং অর্থমন্ত্রী হিসেবে মুস্তফা কামালের দ্বিতীয় বাজেট।
এবারের বাজেটের আকার ধরা হয়েছে ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকা, যা জিডিপির ১৭ দশমিক ৯ শতাংশ। প্রস্তাবিত বাজেটের আকার চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের চেয়ে ১৩ দশমিক ২৪ শতাংশ বেশি। আগামী অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে পরিচালনসহ অন্যান্য খাতে মোট বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৩ লাখ ৬২ হাজার ৮৫৫ কোটি টাকা এবং বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে বরাদ্দ ধরা হয়েছে ২ লাখ ৫ হাজার ১৪৫ কোটি টাকা।
আপনার মন্তব্য