১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ১৩:৫৭
ছাত্র বিক্ষোভের মুখে অবরুদ্ধ অবস্থায় হাটহাজারী দারুল উলুম মাদরাসার মহাপরিচালক পদ থেকে পদত্যাগ করার পর অসুস্থ হয়ে পড়ায় আল্লামা শাহ আহমদ শফীকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানে তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রেখে চিকিৎসা দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। এজন্য গঠন করা হয়েছে একটি মেডিকেল বোর্ডও।
বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে আল্লামা শাহ আহমদ শফীকে এম্বুলেন্সে করে হাটহাজারী মাদ্রাসা থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে হাসপাতালের ৩য় তলার আইসিইউ’র ৮ নম্বর বেডে ভর্তি করা হয় বলে হাসপাতালটির সহকারী পরিচালক ডা. আফতাবুল ইসলাম নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, শফি হুজুর হৃদরোগসহ বার্ধক্যজনিত নানা জটিল রোগে ভুগছেন। তার চিকিৎসায় মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। তার অবস্থা উন্নতির দিকে।
এদিকে স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে আল্লামা শফী অসুস্থ হয়ে পড়েন। অসুস্থতা বেড়ে যাওয়ায় তিনি হাসপাতাল যেতে চাইলেও তাকে আটকে রাখে আন্দোলনকারীরা। রাত ১২ টার দিকে মাদ্রাসার প্রধান গেটের সামনে প্রায় আধাঘণ্টা আল্লামা শফীকে বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সটি আটকে রেখেছিল আন্দোলনরত ছাত্ররা।
বিজ্ঞাপন
এর আগে হাটহাজারী মাদ্রাসার মহাপরিচালকের পদ থেকে স্বেচ্ছায় সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন হেফাজত আমির শাইখুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফী। বৃহস্পতিবার রাতে তিনি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে মাদ্রাসার মজলিসে শুরার কয়েকজন সদস্য জানিয়েছেন।
ঘোষণায় বলা হয়, মুহতামিম বা মহাপরিচালকের পদ থেকে সরে যাওয়ায় আল্লামা শফীকে সদরে মুহতামিম বা উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এছাড়া বৈঠকে মাওলানা নুরুল ইসলাম কক্সবাজারিকে থেকে অব্যাহতি দেয়ার পাশাপাশি মাওলানা আনাস মাদানীর বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত বহাল রাখা হয়।
এরপর রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ পুলিশ ও র্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যরা মাদ্রাসার সামনে থেকে সরে যায় এবং চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। পরে মাদ্রাসার বাইরে থাকা শিক্ষার্থীরা মাদ্রাসায় প্রবেশ করে।
প্রসঙ্গত, প্রায় শতবর্ষী আল্লামা আহমদ শফী দীর্ঘদিন যাবৎ তিনি বার্ধক্যজনিত দুর্বলতার পাশাপাশি ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ও শ্বাসকষ্টে ভুগছেন।
আপনার মন্তব্য