সিলেটটুডে ডেস্ক

৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ২০:০৪

রিফাতকে বাঁচানোর চেষ্টা ছিলো মিন্নির সিমপ্যাথি আদায়ের কৌশল : আদালত

আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় তার স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিসহ ছয় আসামির মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করেন আদালত। এছাড়া এ মামলায় ৪ জনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান।

রায়ের পর্যবেক্ষনে আদালত বলনে, রিফাত হত্যাকাণ্ডটি জঘন্য ও ন্যক্কারজনক। এই হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনায় মিন্নি যুক্ত ছিলেন। ঘটনার সময় মিন্নি তার স্বামীকে রক্ষা করতে গেছেন, এটা সিমপ্যাথি আদায়ের কৌশল ছিল বলে প্রতীয়মান। মিন্নি তার স্বামী রিফাতকে কোপানোর সময় রিফাতকে রক্ষার চেয়ে নয়ন বন্ডকে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেছিলেন বলে প্রতীয়মান।

বুধবার রিফাত হত্যা মামলার রায়ে আদালত এমন পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি (পিপি) ভূবন চন্দ্র হালদার।

মামলায় বাদীপক্ষের আইনজীবী মজিবুল হক বলেন, মামলায় বিচারক তার পর্যবেক্ষণে স্পষ্ট উল্লেখ করেছেন, মিন্নির পরিকল্পনায় এবং তার কারণেই এ হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, হত্যার আগে মিন্নি মামলার মূল আসামি নয়ন বন্ডের সঙ্গে এক মাসে ৪৪ বার এবং নয়ন বন্ড আয়শার সঙ্গে ১৬ বার ফোনে কথা বলেছেন। এ ছাড়া অসংখ্যবার খুদে বার্তা চালাচালি করেছেন।

উল্লেখ‌্য, ২০১৯ সালের ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে প্রকাশ্যে কুপিয়ে জখম করা হয় রিফাত শরীফকে। ওই দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এরপর রিফাতের বাবা দুলাল শরীফ বাদী হয়ে বরগুনা থানায় ১২জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় রিফাতের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দীকা মিন্নিকে প্রধান সাক্ষি রাখা হয়।

এরপর ওই বছরের ১ সেপ্টেম্বর রিফাতের স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে বরগুনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দুই ভাগে বিভক্ত অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দেয় পুলিশ।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত