সিলেটটুডে ডেস্ক

২০ অক্টোবর, ২০২০ ২২:৩৩

মাদ্রাসা শিক্ষকের ‘বলাৎকারের’ নেশা!

চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় এক মাদ্রাসাছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে একই মাদ্রাসার এক শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সোমবার দিবাগত রাতে মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন (৩৮) নামের ওই মাদ্রাসা শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে আরও তিন মাদ্রাসাছাত্রকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

গ্রেপ্তার মাদ্রাসা শিক্ষক মোহাম্মদ নাছির উদ্দিনের বাড়ি কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ছোট বেউলা গ্রামে। তিনি রাঙ্গুনিয়া উপজেলার স্বনির্ভর রাঙ্গুনিয়া ইউনিয়নের একটি কওমি মাদ্রাসার শিক্ষক ও আবাসিক প্রধান ছিলেন। এক অভিভাবক ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে সোমবার দিবাগত রাতে বলাৎকারের অভিযোগে মামলা করেছেন। মঙ্গলবার চার শিশুকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

সহকারী পুলিশ সুপার (রাঙ্গুনিয়া সার্কেল) আনোয়ার হোসেন শামীম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এ ঘটনায় মঙ্গলবার গ্রেপ্তার নাছির উদ্দিন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

আনোয়ার হোসেন শামীম বলেন, ‘শিক্ষক নাছির উদ্দিন ছোট ছেলে শিশুদের প্রতি প্রবল যৌনাসক্ত ছিল। শিক্ষকতার মহান পরিচয়ের আড়ালে এই ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে মাদ্রাসার ছাত্রদের ধর্ষণ করে আসছে। কোনও ছাত্র রাজি না হলে বা প্রতিবাদ করলেই তার ওপর নেমে আসতো 'হুজুরের' নির্যাতনের খড়গ। নানা অজুহাতে ক্রমাগত মারপিটের শিকার হওয়ার পর এ কাজে বাধ্য হতো তারা। সম্প্রতি তার হাতে যৌন নির্যাতনের শিকার চার ছাত্রের পরিবার রাঙ্গুনিয়া থানায় অভিযোগ করেন। তাদের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে সোমবার রাতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়ে তিনি শিশু বলাৎকার করার কথা স্বীকার করে নেন। একই দিন বলাৎকারের শিকার চার জন ছাত্র আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি দিয়ে তাদের ওপর নাছিরের নৃশংস নির্যাতনের বর্ণনা দেয়।

জানা যায়, ৫ বছর দুবাই থাকার পর মূলত এই শিশু বলাৎকারের আসক্তিই তাকে মাদ্রাসা শিক্ষকতা পেশায় টেনে আনে। শিক্ষকতায় নিয়োজিত থেকে অদ্ভুত উপায়ে সে তার আকাঙ্ক্ষা পূরণ করে চলে। নির্যাতনের শিকার হয়ে তার প্রস্তাবে 'রাজি' হওয়া ছাত্ররা পালাক্রমে শয্যাসঙ্গী হতে বাধ্য হতো। এমনকি এই শিক্ষক রুটিনের মতো করে রাখতো, কে কবে তাকে বিছানায় সময় দেবে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত