সিলেটটুডে ডেস্ক

২১ অক্টোবর, ২০২০ ২১:০১

সংকটাপন্ন ব্যারিস্টার রফিক-উল হক

বর্ষীয়ান আইনজীবী ও সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার রফিক-উল হকের শারীরিক অবস্থা সংকটাপন্ন। তাকে রাজধানীর মগবাজারে আদ-দ্বীন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে। রক্তস্বল্পতাসহ বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন সমস্যায় ভুগছিলেন সুপ্রিম কোর্টের স্বনামধন্য এই আইনজীবী।

মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) রাত থেকে ব্যারিস্টার রফিক-উল-হকের শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। তার শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা কমে যায়। তাৎক্ষণিকভাবে তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হয়। বর্তমানে তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে।

আদ-দ্বীন হাসপাতালের মহাপরিচালক ডা. নাহিদ ইয়াসমিন জানান, ব্যারিস্টার রফিকের শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন। তবে এখনো তিনি সাড়া দিচ্ছেন। আমরা সাধ্যমতো তাকে চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছি।

এর আগে, শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে বৃহস্পতিবার (১৫ অক্টোবর) ব্যারিস্টার রফিককে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই সময় তার রক্তশূন্যতা দেখা দেয়। দুই ব্যাগ হিমোগ্লোবিন দেওয়ায় সেই সমস্যা কিছুটা কেটেছে। এদিকে সিটি স্ক্যানের রিপোর্টে মাইল্ড স্ট্রোকের ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছিল। পরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্তে নমুনা পরীক্ষাও করা হয়। সে পরীক্ষার ফল নেগেটিভ এসেছিল বলে জানিয়েছিলেন নাহিদ ইয়াসমিন।

রফিক-উল হকের জন্ম ১৯৩৩ সালের ২ নভেম্বর, কলকাতায়। ১৯৫৮ সালে এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি। ১৯৬১ সালে অর্জন করেন বার-অ্যাট-ল ডিগ্রি।

১৯৬০ সালে কলকাতা উচ্চ আদালতে আইনজীবী হিসেবে বারের সদস্য হন রফিক-উল হক। ১৯৬২ সালে তিনি ঢাকা উচ্চ আদালতে যোগ দেন, ১৯৬৫ সালে পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টে অ্যাডভোকেট হিসেবে ভর্তি হন। ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালতের আপিল বিভাগে সিনিয়র আইনজীবী হিসাবে যোগ দেন। ১৯৯০ সালে নিয়োগ পান অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে।

আলোচিত বিভিন্ন মামলায় লড়ার কারণে আদালত প্রাঙ্গণের এক পরিচিত মুখ বর্ষীয়ান এই আইনজীবী। ওয়ান-ইলেভেনের সময় আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলার অভিযোগ আনা হয়। ওই সময় তিনি তাদের দুজনেরই পরামর্শক ছিলেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত