সিলেটটুডে ডেস্ক

১৭ জানুয়ারি, ২০২১ ১৮:০৪

জামিন পেলেন সেই তুফান

বগুড়ায় তিন বছর আগে ছাত্রী ধর্ষণ এবং ওই মেয়ে ও তার মায়ের মাথা ন্যাড়া করে দেয়ার মামলায় প্রধান আসামি তুফান সরকার জামিন পেয়েছেন।

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক ফজলুল হক শুনানি শেষে রোববার তাকে জামিন দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বগুড়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নরেশ মুখ্যার্জি।

তুফান সরকার বগুড়া শহর শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক ছিলেন। ঘটনার পরে তাকে বহিষ্কার করা হয়।

নরেশ মুখ্যার্জি বলেন, ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে করা মামলায় বিচারিক আদালতে তুফানের জামিন চান তার আইনজীবী। তবে আমরা এই জামিনের বিরোধিতা করেছিলাম।’

আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন আব্দুল মান্নাফ। তিনি বলেন, ‘আদালত শুনানি শেষে তুফান সরকারকে জামিন দিয়েছেন। ধর্ষণ ছাড়া ওই মেয়ে ও তার মাকে নির্যাতনের মামলাতেও তিনি জামিনে রয়েছেন।’

২০১৭ সালের ২৮ জুলাই তুফান সরকারসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও নির্যাতনের অভিযোগে বগুড়া সদর থানায় মামলা করেন শিক্ষার্থীর মা।

মামলায় বলা হয়, ভালো কলেজে ভর্তি করিয়ে দেয়ার কথা বলে তুফান মোবাইলে ওই মেয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। পরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ২০১৭ সালের ১৭ জুলাই নিজ বাড়িতে মেয়েটিকে ধর্ষণ করেন তিনি। এ ঘটনার জেরে ওই বছরের ২৮ জুলাই ওই মেয়ে ও তার মায়ের মাথা ন্যাড়া করে দেন তুফানের স্ত্রী। করা হয় মারধরও।

ছাত্রীকে ধর্ষণ ও মা-মেয়েকে নির্যাতনের ঘটনায় বগুড়া সদর থানায় ২০১৭ সালের ২৮ জুলাই দুটি মামলা করেন নির্যাতিত মেয়েটির মা। দুই মামলাতেই তুফান সরকার প্রধান আসামি।

আদালত সূত্র জানায়, ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে করা একটি মামলার তদন্ত শেষে প্রধান আসামি তুফান সরকারসহ ১০ জনকে অভিযুক্ত করা হয়। অভিযুক্ত অন্যরা হলেন তুফানের স্ত্রী তাছমিন রহমান ওরফে আশা, আশার বড় বোন পৌরসভার নারী কাউন্সিলর মারজিয়া হাসান রুমকি, আশার মা লাভলী রহমান ওরফে রুমি, তুফানের সহযোগী আতিকুর রহমান ওরফে আতিক, মুন্না, আলী আযম দীপু, মেহেদী হাসান ওরফে রুপম, সামিউল হক ওরফে শিমুল ও এমারত আলম খান ওরফে জিতু।

প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার সাক্ষ্য-প্রমাণ না পাওয়ায় অভিযোগপত্র থেকে অব্যাহতি দেয়া হয় তুফানের শ্বশুর জামিলুর রহমান ওরফে রুনু ও নাপিত জীবন রবিদাস ওরফে যতিনকে।

অন্যদিকে ছাত্রী ও তার মাকে নির্যাতনের পর মাথা ন্যাড়া করে দেয়ার মামলায় তুফানসহ ১৩ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে তুফানসহ ১০ জন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের মামলাতেও অভিযুক্ত। বাকি তিন অভিযুক্ত হলেন তুফানের শ্বশুর জামিলুর রহমান, নাপিত জীবন রবিদাস ও বাদুড়তলা এলাকার আনজুয়ারা বেগম।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত