সিলেটটুডে ডেস্ক

২৪ জানুয়ারি, ২০২১ ০২:০৪

ঘর পেলেন সহায় সম্বলহীন দুইবারের এমপি জজ মিয়া

এনামুল হক জজ মিয়া; ১৯৮৬ ও ১৯৮৮ সালে জাতীয় পার্টির হয়ে দুইবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। গফরগাঁও পৌরশহর ও ঢাকায় বিলাসবহুল বাড়ি ছিল তার। ‘সব সম্পত্তি প্রথম দুই স্ত্রী ও সন্তানদের’ লিখে দিয়েছিলেন তিনি, সর্বশেষ হাতে থাকা ১২ শতাংশ জমি মসজিদের নামে লিখে দিয়েছিলেন। এরপর থেকে গফরগাঁও পৌর শহরের সালটিয়া গ্রামে একটি ভাড়া বাসায় তৃতীয় স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছিলেন তিনি। খাট কেনার সামর্থ্য না থাকায় মেঝেতেই ঘুমান তিনি।

সেই জজ মিয়া অবশেষে ঘর পেয়েছেন। মুজিববর্ষ উপলক্ষে ময়মনসিংহ-১০ (গফরগাঁও) আসনে জাতীয় পার্টি থেকে দুই বারের নির্বাচিত সাবেক এমপি এনামুল হক জজ মিয়া আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর উপহার পেয়েছেন। শনিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারা দেশে ভিডিও কনফারেন্সে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ঘরের চাবি দেওয়া হয়। এ সময় এনামুল হক জজ মিয়াকে স্থানীয় এমপি ফাহমী গোলন্দাজ বাবেল ঘরের চাবি ও দলিল বুঝিয়ে দেন।

জজ মিয়াকে গফরগাঁও পৌরসভার মেয়র এসএম ইকবাল হোসেন সুমন ব্যক্তিগত তহবিল থেকে সম্প্রতি মানবিক সহায়তা করেন। এ সময় সাবেক এমপি জজ মিয়া পৌর মেয়র ও স্থানীয় এমপির মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটি ঘরের আবেদন করেন।

ঘর পেয়ে জজ মিয়া বলেন, আমি গফরগাঁওয়ে দুই বারের নির্বাচিত এমপি ছিলাম। সব কিছু হারিয়ে আমি এখন গৃহহীন। আমি থাকার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে ঘর দাবি করেছিলাম। ঘর পেয়েছি, আজ আমি অনেক খুশি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আমি কৃতজ্ঞ।

এ সময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান আশরাফ উদ্দিন বাদল, পৌর মেয়র এসএম ইকবাল হোসেন সুমন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাজুল ইসলাম, নারী ভাইস চেয়ারম্যান রেশমা আক্তার প্রমুখ।

এনামুল হক জজ মিয়া সম্পর্কে গফরগাঁও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. তাজুল ইসলাম বলেন, সাবেক এই সংসদ সদস্য করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে কষ্টে দিনযাপন করছেন বলে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে জানতে পারেন তিনি।

“পরে স্থানীয় সংসদ সদস্যের সঙ্গে আলোচনা হলে তাক্ষণিকভাবে মেয়রের মাধ্যমে তাকে ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হয় এবং একটা ঘরের জন্য আবেদন করতে বলা হয়। আবেদন করলে তার নাম তালিকায় তোলা হয়। সংসদ সদস্য বলেছেন, ‘তাকে আপাতত একটি ঘর দেন। পরে আমরা তার জন্য একটি ভাল ঘরের ব্যবস্থা করব’।”

ময়মনসিংহের ডিসি মিজানুর রহমান বলেন, এ জেলায় মোট চার হাজার ৭০৮টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের তালিকা করা হয়েছে। এর মধ্যে ২০২০-২১ অর্থবছরে মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে ১৩টি উপজেলায় ১৪৪টি স্পটে এক হাজার ৩০৫টি ঘর দেওয়া হয়েছে। বাকিগুলো পর্যায়ক্রমে প্রকল্পের আওতায় আনা হবে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত