সিলেটটুডে ডেস্ক

২৭ জানুয়ারি, ২০২১ ১৯:৪১

নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ করতে সহিংসতার পথ বেছে নেয় বিএনপি : ওবায়দুল কাদের

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)-এর নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী কর্তৃক ইভিএম মেশিন ভাঙা ও কেন্দ্র দখলসহ সন্ত্রাসী কার্যকলাপের মাধ্যমে সহিংসতার পথ বেছে নিয়েছিল বিএনপি। বরাবরের মতো এ নির্বাচনেও বিএনপি ভোটের মাঠে অংশগ্রহণ না করে, নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার পরিস্থিতি সৃষ্টি করে, তার দায়ভার আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের ওপরে চাপানোর চেষ্টা করেছে।’

বুধবার (২৭ জানুয়ারি) নিজের সরকারি বাসভবন থেকে চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচন পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)-এর নির্বাচন মোটামুটি শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে দাবি করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘নির্বাচন বানচালে বিএনপির অপপ্রয়াস ভণ্ডুল করে এবং করোনা মহামারিজনিত শঙ্কা কাটিয়ে ভোট কেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি ছিল সন্তোষজনক।’

বিএনপি ৭৩৫টি কেন্দ্রের সবগুলোতে এজেন্ট দিতে ব্যর্থ হয়েছে। তাদের সেই সাংগঠনিক ক্ষমতা নেই মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘তারা তাদের দুর্বলতা ঢাকতে ও গণরায়কে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে সন্ত্রাসের পথ বেছে নিয়েছে।’

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রথম থেকেই বিএনপির প্রার্থীসহ নেতাকর্মীরা নির্বাচনি মাঠে যে ধরনের সুযোগ-সুবিধা পেয়েছেন, তা তাদের আমলেও পাননি বলে দাবি করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘সার্বিকভাবে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও নেতাকর্মীদের চেয়ে বিএনপির লোকজন বেশি সুযোগ-সুবিধা পেয়েছে।’ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘নির্বাচনকে শান্তিপূর্ণ ও অবাধ করার লক্ষ্যে নিরাপত্তার জন্য ১৮ হাজার পুলিশ ও আনসার সদস্যদের পাশাপাশি ২৫ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়।’ মোটামুটি অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য নির্বাচন কমিশনকে ধন্যবাদ জানিয়ে ওবায়দুল কাদের আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকেও সব ভোটার, জনগণ ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সবাইকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।

নির্বাচন উপলক্ষে সরকারি ছুটি ঘোষণা না করায় এবং গণপরিবহন বন্ধ থাকায় ভোটার উপস্থিতি প্রত্যাশার চেয়ে কিছুটা কম হয়েছে বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মহানগরীর জনগণ কখনোই বিএনপির পক্ষে সমর্থন দেয় নাই। এমনকি তারা যখন ক্ষমতায় ছিল, তখনও আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র প্রার্থী জয়ী হয়েছে। শুধু একবার বিএনপি প্রার্থী হিসেবে মঞ্জুর আলম নির্বাচিত হলেও মূলত রাজনৈতিকভাবে তিনি আওয়ামী মতাদর্শের মানুষ ছিলেন।’

বিএনপি ভোটের রাজনীতিতে জেতার জন্য আওয়ামী লীগ থেকে মঞ্জুর আলমকে নিয়ে প্রার্থী করেছিল বলে মন্তব্য করেন তিনি।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত