সিলেটটুডে ডেস্ক

২৪ ফেব্রুয়ারি , ২০২১ ১৬:২৪

চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচন : ফল বাতিল চেয়ে বিএনপি প্রার্থী শাহাদাতের মামলা

শাহাদাত হোসেন। ফাইল ফটো সংগৃহীত

প্রায় এক মাস আগে হওয়া চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের ফল বাতিল এবং নতুন করে ভোটের দাবিতে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে মামলা করেছেন মেয়র পদের পরাজিত প্রার্থী বিএনপি নেতা ডা. শাহাদাত হোসেন।

বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ট্রাইবুন্যালের বিচারক যুগ্ম জেলা জজ খায়রুল আমিনের আদালতে দায়ের করা এ মামলায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও নির্বাচিত মেয়র রেজাউল করিমকে প্রধান বিবাদী করা হয়েছে।

এছাড়া চট্টগ্রামের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা, নির্বাচন কমিশন সচিব, প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচনে অংশ নেওয়া অপরাপর পাঁচ মেয়র প্রার্থীকেও বিবাদী করা হয়েছে বলে শাহাদাতের আইনজীবী দেলোয়ার হোসেন চৌধুরী জানিয়েছেন।

রেজাউল ও শাহাদাত ছাড়া অন্য মেয়র প্রার্থী অন্যরা হলেন- আবুল মনজুর, এমএ মতিন, খোকন চৌধুরী, মুহাম্মদ ওয়াহেদ মুরাদ, মো. জান্নাতুল ইসলাম।

আইনজীবী দেলোয়ার বলেন, ‘২০০৯ সালের সিটি করপোরেশন আইন, ২০১০ সালের নির্বাচনী বিধিমালার ৫৩ বিধির ২ নম্বর উপ-বিধিতে তারা মামলাটি করেছেন। সেখানে নির্বাচনের ফল বাতিল করে নতুন করে ভোট গ্রহণের আদেশ চাওয়া হয়েছে। আদালত মামলটি নথিভুক্ত করেছে।’

আইনজীবী দেলোয়ার আরও বলেন, “প্রহসনের নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন অসহায় প্রাণীর মতো আচরণ করেছে। মাস্তান বাহিনী দিয়ে কেন্দ্র দখল করা হয়েছে। এ নির্বাচনে মেয়র পদে ফল বাতিল চেয়েছি আমরা।”

মামলা করার পর আদালত চত্বরে শাহাদাত সাংবাদিকদের বলেন, “৫ শতাংশ ভোটকে সাড়ে ২২ শতাংশ দেখানো হয়েছে। এটা চুরি নয়, ভোট ডাকাতি। নির্বাচন বাতিল করে সুষ্ঠু নিরপেক্ষ কমিশনের অধীনে নির্বাচন চাই।”

চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান, চট্টগ্রাম মহানগরের সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্করও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ আর গুলিতে একজনের প্রাণহানির মধ্য দিয়ে গত ২৭ জানুয়ারি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হয়। তাতে বিএনপির প্রার্থী শাহাদাত হোসেনকে প্রায় তিন লাখ ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে মেয়র নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগের এম রেজাউল করিম চৌধুরী।

নির্বাচন কমিশনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এবারের নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা ছিল ১৯ লাখ ৩৮ হাজার ৭০৬ জন। ভোট দিয়েছেন মোট ৪ লাখ ৩৬ হাজার ৫৪৩। ভোটের হার ২২ দশমিক ৫২ শতাংশ।

 

আপনার মন্তব্য

আলোচিত