সিলেটটুডে ডেস্ক

০৯ নভেম্বর, ২০১৫ ২০:২৩

স্বামীর কবরে চির নিদ্রায় আসমা কিবরিয়া

স্বামীর বিচারের জন্যে ‘শান্তির স্বপক্ষে নীলিমা’ ও ‘রক্তের অক্ষরে শপথের স্বাক্ষর’ নামক অভিনব ও শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ কর্মসূচি শুরু করলেও বিচার দেখে যেতে পারেন নি চিত্রশিল্পী আসমা কিবরিয়া। অনন্ত এক আক্ষেপ নিয়ে তিনি চির নিদ্রায় শায়িত হলেন স্বামী সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়ার কবরে।

বিকালে আসরের নামাজের পর গুলশানের আজাদ মসজিদে আসমা কিবরিয়ার জানাজা হয়। সন্ধ্যায় বনানী কবরস্থান মসজিদে আরেক দফা জানাজার পর সেখানেই তার দাফন হয়।

সোমবার (৯ নভেম্বর) সকালে ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। তার বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর।

আসমা কিবরিয়ার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদসহ অনেকেই শোক জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য তোফায়েল আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকসহ বিশিষ্টজনরা আজাদ মসজিদে আসমা কিবরিয়ার জানাজায় অংশ নেন। তার দাফনের সময় সাংসদ দীপু মনিসহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও স্বজনরা বনানী কবরস্থানে উপস্থিত ছিলেন।

১৯৩৭ সালে জন্ম নেওয়া আসমা চিত্রকলা নিয়ে লেখাপড়া করেন নিউ ইয়র্কের উন আর্ট স্কুল ও ওয়াশিংটনের কোরকোরান স্কুলে।

ওয়াশিংটনে সমসাময়িক মার্কিন শিল্পীদের সঙ্গে কাজের সূত্র ধরে বিমূর্ত ধারার চিত্রকলায় প্রভাবিত হন তিনি। তার কাজ নিয়ে ব্যাংককসহ বিভিন্ন শহরে এ পর্যন্ত দশটি একক প্রদর্শনী হয়েছে।

২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জ সদরের বৈদ্যের বাজারে এক জনসভায় গ্রেণেড হামলায় নিহত হন সাবেক অর্থমন্ত্রী ও আওয়মী লীগ নেতা শাহ এএমএস কিবরিয়া। স্বামীর মৃত্যুর পর বিচারের দাবিতে আন্দোলনে রাস্তায় নেমে আসেন চিত্রশিল্পী স্ত্রী।

কিবরিয়া ১৯৯৬-২০০১ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ সরকারের অর্থমন্ত্রী ছিলেন। ওই হত্যাকাণ্ড নিয়ে পুলিশের প্রথম দিকের দেওয়া তদন্ত প্রতিবেদন নিয়ে আপত্তি ছিল আসমার। কিবরিয়া হত্যা মামলার প্রথম সম্পূরক অভিযোগপত্রে ‘আসল অপরাধীদের' আড়াল করা হয়েছে বলেও অভিযোগ ছিল তার।

শাহ এ এম এস কিবরিয়া ও আসমা কিবরিয়ার ছেলে রেজা কিবরিয়া একজন অর্থনীতিবিদ। আর তাদের মেয়ে নাজলী কিবরিয়া বস্টন বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদের সহযোগী অধ্যাপক।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত