সিলেটটুডে ডেস্ক

২৮ মার্চ, ২০২১ ১৭:৪৫

হেফাজতের তাণ্ডবে সিলেটে ট্রেন চলাচল বন্ধ

হরতালে চলাকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতে ইসলামের তাণ্ডবের কারণে সিলেট-ঢাকা ও সিলেট-চট্টগ্রাম সড়কে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে।

রোববার সকাল নয়টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রথমে চট্টগ্রামগামী সোনার বাংলা এক্সপ্রেসে ভাঙচুর চালানো হয়। এরপর রেললাইনের নাট-বল্টু খুলে নেওয়ার পাশাপাশি লাইনের ওপর কংক্রিটের স্ল্যাবও ফেলে রেখেছে হরতালকারীরা। আশুগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মাঝখানে ১৮ নম্বর রেলসেতুতেও আগুন দেওয়া হয়। দুপুরের দিকে আশুগঞ্জ রেলস্টেশনে হরতালকারীরা জড়ো হয়। এই গোলযোগের মধ্যে বিভিন্ন স্থানে আটকা পড়েছে বেশ কয়েকটি ট্রেন।

জানতে চাইলে রেলের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) সরদার সাহাদাত আলী বলেন, ‘নিরাপত্তার কারণে সকাল নয়টার পর থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট পথে ট্রেন চলাচল বন্ধ আছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ হচ্ছে। তাদের পক্ষ থেকে সংকেত পেলেই ট্রেন চালু করা হবে।’
বিজ্ঞাপন

রেলওয়ে সূত্র জানায়, রোববার সকাল আটটার পর ব্রাহ্মণবাড়িয়া হয়ে ঢাকার পথে একটি মালবাহী ট্রেন আসে। এরপর ঢাকা থেকে সিলেটমুখী পারাবত এক্সপ্রেস ট্রেন যায়। এরপর আর কোনো ট্রেন চলাচল করেনি। সোনার বাংলা এক্সপ্রেস ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশনের কাছাকাছি হামলার মুখে পড়লে ট্রেনটিকে ফিরিয়ে ভৈরব নিয়ে আসা হয়। এটি ঢাকায় ফিরিয়ে আনা হতে পারে।

রেল কর্মকর্তারা জানান, চট্টগ্রামমুখী মহানগর এক্সপ্রেস ট্রেনটি আটকে আছে নরসিংদীর আমিরগঞ্জে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পথে যাওয়া তিতাস কমিউটার ট্রেন দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে নরসিংদীর ঝিনারদিতে। নোয়াখালী থেকে ঢাকার পথে আসা উপকূল এক্সপ্রেস আটকে রয়েছে আখাউড়ায়। সুবর্ণ এক্সপ্রেস ট্রেন চট্টগ্রাম থেকে এসে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় বসে আছে। সিলেট থেকে ঢাকামুখী কালনী এক্সপ্রেস বসে আছে হবিগঞ্জের আজমপুরে। চট্টগ্রাম থেকে ময়মনসিংহের পথে চলাচলকারী বিজয় এক্সপ্রেস কুমিল্লায় দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে। ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া মেইল ট্রেন কর্ণফুলী এক্সপ্রেস আটকে রয়েছে নরসিংদী স্টেশনে।

এর আগে শনিবার সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সংঘর্ষের পর নিরাপত্তাঝুঁকিতে প্রায় তিন ঘণ্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে। গতকাল থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টেশনে সব ধরনের আন্তনগর ট্রেনের যাত্রাবিরতি বাতিল করা হয়েছে। রেলওয়ে কর্মকর্তারা বলছেন, আন্তনগর ট্রেনে যাত্রী ওঠানামার সময় নাশকতা হতে পারে—এমন আশঙ্কা থেকেই যাত্রাবিরতি বন্ধ রাখা হয়েছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত