সিলেটটুডে ডেস্ক

২০ মে, ২০২১ ১৭:১৭

কারাবন্দি হেফাজত নেতার মৃত্যু

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলা হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কমিটির সহসভাপতি ইকবাল হোসেন গ্রেপ্তার অবস্থায় হাসপাতালে মারা গেছেন। কারা কর্তৃপক্ষ বলছে, তিনি পেটের পীড়ায় আক্রান্ত ছিলেন।

তিনি গত ৩ এপ্রিল হেফাজত নেতা মামুনুল হকের রিসোর্টকাণ্ডের ঘটনায় সেখানে হামলা, ভাঙচুর ও মহাসড়কে নাশকতা মামলার প্রধান আসামি ছিলেন।

রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

ইকবাল হোসেনের বাড়ি সোনারগাঁ উপজেলার উদুমগঞ্জ এলাকায়। তিনি হেফাজতে ইসলামের পাশাপাশি মামুনুল হকের দল খেলাফত মজলিসের সোনারগাঁ উপজেলা শাখার সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন।

সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মসজিদের ইমামও ছিলেন ইকবাল হোসেন।

নারায়ণগঞ্জ কারাগারের জেলার শাহ রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ইকবাল হোসেন কারাগারে পেটব্যথায় অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে ১১ মে ঢাকার সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে তিনি মারা যান।’

গত ১১ এপ্রিল বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ঢাকার জুরাইন রেলগেট বাজার মসজিদের সামনে থেকে ইকবাল হোসেনসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। পরের দিন তাদের পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে আদালতে পাঠানো হয়।

র‌্যাব-১১-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল খন্দকার সাইফুল আলম জানান, গত ৩ এপ্রিল স্থানীয় জনতার হাতে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক নারীসহ রয়্যাল রিসোর্টে অবরুদ্ধ হওয়ার পর রিসোর্টটিতে ভাঙচুরসহ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সহিংসতা, গাড়ি ভাঙচুর, নাশকতা সৃষ্টি ও অগ্নিসংযোগ করে জনমনে ভীতি সঞ্চার করেন হেফাজতকর্মীরা।

ওই সময় সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মসজিদের ইমাম মাওলানা ইকবাল মসজিদের মাইকে উসকানিমূলক বক্তব্য প্রচার করে লোক জমায়েত করে হামলায় নেতৃত্ব দেন বলে অভিযোগ আছে।

এ ঘটনায় পুলিশ চারটি মামলায় ইকবাল হোসেনকে আসামি করে। এর মধ্যে দুটি মামলার তাকে প্রধান আসামি করা হয়।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত