সিলেটটুডে ডেস্ক:

২১ অক্টোবর, ২০২১ ২২:০৩

ইকবালকে কোরআন সরবরাহ করেছিল মাজারের কর্মী

মসজিদের ভেতরে ইকবালের জন্য কোরআন রেখে যান মাজারের দুই কর্মী স্ক্রিনশট

কুমিল্লার নানুয়ার দিঘির পাড়ের পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন শরিফ রাখায় প্রধান সন্দেহভাজন হিসেবে শনাক্ত ইকবাল হোসেনকে কোরআনটি সরবরাহ করেছিল মাজারের কর্মী।পূজামণ্ডপে কোরআন শরীফ রাখার ঘটনা তদন্তে গিয়ে আরও একটি সিসিটিভি ফুটেজ সামনে আসলে এই ঘটনাটি প্রকাশ পেয়েছে।

সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, নানুয়ারদিঘীর দারোগাবাড়ি মাজারের দুই কর্মীর একজন মাজার সংলগ্ন মসজিদে ইকবাল হোসেনের জন্য কোরআন শরিফ রেখে যাচ্ছে।

পুলিশ সূত্র জানায়, ওই দুই কর্মী হলেন হাফেজ হুমায়ুন এবং ফয়সাল।

তবে ১২ অক্টোবর রাত ১১টায় তাদের দুজনের মধ্য থেকে কে মসজিদের ভেতরে কোরআন রেখে গিয়েছিল তা তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি ।

আরেকটি ফুটেজে দেখা যায়, দিবাগত রাত ২টা ১২ মিনিটে ইকবাল মসজিদ থেকে কোরআনটি সংগ্রহ করছে। এরপর সে মসজিদ থেকে বেরিয়ে নানুয়ারদিঘী পূজামণ্ডপে হনুমান মূর্তির ওপর কোরআন শরিফ রেখে আসে।

ইকবালই যে মণ্ডপে কোরআন শরিফ রেখে এসেছিল, বুধবার সে কথা জানায় পুলিশ। কিন্তু বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত তাকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি তারা।

এর আগে পাওয়া একটি সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, ইকবাল মসজিদ থেকে বেরিয়ে আসছে এবং কিছুক্ষণ পরে মণ্ডপের হনুমান প্রতিমার গদা নিয়ে হেঁটে যাচ্ছে।

এদিকে, বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, ‘এই মুহূর্তে মোবাইল ফোন ব্যবহার না করায় ইকবালকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তবে শিগগিরই তাকে গ্রেপ্তার করা হবে।’

মন্ত্রী মনে করেন, কুমিল্লার ঘটনায় ইকবালকে কেউ প্ররোচনা দিয়েছে। তাকে আটকের পর ঘটনার পেছনের কারণ বেরিয়ে আসবে।

দুর্গাপূজায় সারা দেশে উৎসবমুখর পরিবেশের মধ্যে গত ১৩ অক্টোবর ভোরে কুমিল্লার নানুয়ার দিঘির পাড়ের ওই মণ্ডপে পবিত্র কোরআন শরিফ পাওয়ার পর ছড়িয়ে পড়ে সহিংসতা।

ওই মণ্ডপের পাশাপাশি আক্রান্ত হয় নগরীর আরও বেশ কিছু পূজামণ্ডপ। পরে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে চাঁদপুর, নোয়াখালী, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন জেলায়। ওই দিন চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে হিন্দুদের ওপর হামলা করতে যাওয়া একদল ব্যক্তির সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। সেখানে নিহত হন চারজন। পরদিন নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে হিন্দুদের মন্দির, মণ্ডপ ও দোকানপাটে হামলা–ভাংচুর চালানো হয়। সেখানে হামলায় নিহত হয়েছিলেন দুইজন। এরপর রংপুরের পীরগঞ্জে হিন্দু বসতিতে হামলা করে ভাংচুর, লুটপাট ও ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। হিন্দুদের মন্দির–মণ্ডপসহ বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা হয়েছে দেশের আরও অনেক এলাকায়।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত