সিলেটটুডে ডেস্ক:

০৩ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০৭

খালেদা জিয়ার কিছু হলে সরকার দায়ী থাকবে: মির্জা ফখরুল

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশের শান্তি-স্থিতিশীলতার প্রয়োজনেই খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বাইরে পাঠানো এই সরকারের জন্য দরকার। কারণ তার যদি কোনো ক্ষতি হয় দেশের মানুষ আওয়ামী লীগকে রেহাই দেবে না।

বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের উদ্যোগে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে সুচিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এ কথা বলেন।

অবিলম্বে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে পাঠাতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, অন্যথায় তার কিছু হলে এর জন্য আপনারা সর্বাংশে দায়ী থাকবেন।

তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার জন্য দেশের ১৬ কোটি মানুষ রোজা রাখছে, দোয়া করছেন। খালেদা জিয়া যেন সুস্থ হয়ে যায় এজন্য মা-বোনেরা প্রার্থনা করছেন। কিন্তু তার বিদেশ যাওয়ায় সরকার প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে। তাকে চিকিৎসার জন্য বাইরে যেতে দিতে চায় না। এই সরকার একবারও ভাবে না যে, খালেদা জিয়ার জন্য তারা এতো মানুষের অভিশাপ নিচ্ছেন। সেই অভিশাপ তাদের নিঃসন্দেহে অভিশপ্ত করবে।

খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলনে সবাইকে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের রাইফেল একবার গর্জে উঠেছিল ১৯৭১ সালে, আরেকবার রাজপথে আন্দোলনের মধ্য দিয়ে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই দানব সরকারের বিরুদ্ধে রাজপথে নামতে হবে।

দেশের বর্তমান অবস্থা তুলে ধরতে গিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ক্ষমতাসীনদের কিছু মানুষ ভুঁইফোড় হয়ে মোটা-তাজা হচ্ছে। এই সরকার স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। সরকারি হাসপাতালে গেলে কেউ চিকিৎসা পায় না, অর্থনীতিকে ধ্বংস করেছে, ব্যাংকগুলোকে লুটপাট করে শেষ করে দিয়েছে। তারা কথায় কথায় বলেন, উন্নয়নের রোল মডেল বাংলাদেশ। কিন্তু মানুষ না খেয়ে রাস্তায় পড়ে থাকে। আমাদের কৃষকেরা ধানের দাম পায় না, পণ্যের দাম পায় না, আমাদের শ্রমিক ভাইয়েরা তাদের মজুরি পায় না, আমাদের নিম্নবিত্ত আরো নিম্নবিত্ত হচ্ছে, মধ্যবিত্ত আরো নিম্নবিত্ত হচ্ছে। দারিদ্রের সীমা আরো অনেক নিচে নেমে গেছে। জনগণের টাকা পকেট কেটে তারা লুটপাট করে কানাডার বেগমপাড়ায় বাড়ি বানায়, মালয়েশিয়াতে সেকেন্ড হোম তৈরি করে। তারা লক্ষ-কোটি টাকা পাচার করে দিচ্ছে। এই দেশকে, এই রাষ্ট্রকে আজ এমন অবস্থায় নিয়ে গেছে আওয়ামী লীগ সরকার।

মুক্তিযোদ্ধা দলের সহ সভাপতি আবুল হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সাদেক আহমেদ খানের পরিচালনায় মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ, শওকত মাহমুদ, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক কর্নেল (অব.) জয়নাল আবেদীন, স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা, স্বেচ্ছাসেবক দলের আবদুল কাদির ভূইয়া জুয়েল।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত