স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষে দেশের মানুষকে শপথবাক্য পাঠ করান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশের ৮ বিভাগের বিভাগীয় জেলা, জেলা ও উপজেলা স্টেডিয়াম ও বিজয় দিবসের নির্ধারিত ভেন্যু থেকে সাধারণ মানুষ জাতীয় পতাকা হাতে শপথ বাক্য পাঠ করেন।

শপথ অনুষ্ঠানে অংশ নিতে আরও কোটি মানুষের চোখ টিভি স্ক্রিন, ফেসবুক লাইভে। জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় বানানো শপথ মঞ্চে উঠলেন বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, গেলেন ডায়াসের সামনে! তার পাশে ছোটবোন শেখ রেহানা। এরপরেই সবার চোখ কপালে উঠলো যে দিবসকে ঘিরে এত আয়োজন সেই মুজিববর্ষের বানানটাই ভুল করেছে আয়োজক কমিটি। এত বড় অনুষ্ঠান দেশসহ সারা বিশ্বের যেখানে চোখ থাকবে– সেই অনুষ্ঠানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ লোগোটার বানানেই ভুল।

১৬ ডিসেম্বর, বৃহস্পতিবার বিজয়ের ৫০ বছর ও মুজিববর্ষ উপলক্ষে আয়োজিত ‘মহাবিজয়ের মহানায়ক’ অনুষ্ঠানের শপথ বাক্য পাঠ অংশে এই বানান ভুল করেছে আয়োজক কমিটি। দেখা যায়- প্রধানমন্ত্রী যে ডায়াসে দাঁড়িয়ে শপথবাক্য পাঠ করাচ্ছেন সেখানে ‘সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষের শপথ’ লেখার বদলে একটি 'ব' বাদ দিয়ে লেখা হয়েছে 'সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিবর্ষের শপথ’।

এরপর থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে। দেশের এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি অনুষ্ঠানে বানান ভুল করা সহজেই মেনে নিতে পারছেন না কেউ-ই। তাদের দাবি, আয়োজক কমিটির উদাসীনতায় বানান ভুলের ঘটনা ঘটেছে।

বাংলা গানের কিংবদন্তি সুরকার শহীদ আলতাফ মাহমুদ কন্যা শাওন মাহমুদ ফেসবুকে লিখেন, ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের কোয়ালিটি কন্ট্রোল করবার কি কেউ নাই! দুই বুবুর সামনে খেয়াল করে দেখেন তো- "মুজিববর্ষ" এর জায়গায় "মুজিবর্ষ" লেখা। শুধু টাকা বানানোর জন্যই এসব ইভেন্টওয়ালারা কাজ করে, ধ্যানে জ্ঞানে শুধু টাকাই টাকা।

যদিও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির গত ১৪ ডিসেম্বর বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম ও দপ্তরে অনুষ্ঠান সূচি নিয়ে যে চিঠি পাঠিয়েছে এতে স্পষ্টভাবে উল্লেখ রয়েছে, প্রথম দিন অনুষ্ঠানের শুরুতেই থাকবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিচালনায় মুজিববর্ষ ও সুবর্ণজয়ন্তীর শপথ।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরীর সঞ্চালনায় শপথ পাঠ অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।