সিলেটটুডে ডেস্ক:

১২ জানুয়ারি, ২০২২ ১৯:৫৮

দুধ-মধু-গোলাপজলে ধোয়া হলো নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানের কক্ষ

দুধ ঢালা হয়েছে ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্সের ছাদে। ছবি: সংগৃহীত

কয়েক মণ দুধ, মধু, গোলাপজল দিয়ে ইউনিয়র পরিষদ কমপ্লেক্স ধুয়ে কার্যালয়ের দায়িত্বভার গ্রহণ করলেন নবনির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান রজব আলী বাবলু। এ সময় নবনির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যানের কর্মী-সমর্থকসহ বহু মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

পাবনার চাটমোহর উপজেলার ৪ নম্বর গুনাইগাছা ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্সে মঙ্গলবার বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

রজব আলী বাবলু আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে চেয়ারম্যান নির্বাচন হয়েছেন। তিনি পরাজিত করেছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. নুরুল ইসলামকে, যিনি বাবলুর ভায়রা ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মঙ্গলবার বিকেলে গুনাইগাছা ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্সে নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান রজব আলী বাবলুর কর্মী-সমর্থকরা কয়েক মণ দুধ, মধু ও গোলাপজল দিয়ে চেয়ারম্যানের কক্ষ, ইউপি সচিবের কক্ষসহ ইউনিয়নের বিভিন্ন কক্ষ ধুয়ে ফেলেন। দুধ ঢালা হয় পরিষদের ছাদের উপরেও।

এলাকাবাসীর অভিমত, সাবেক চেয়ারম্যান ও বাবলুর ভায়রা নুরুল ইসলামকে দেখাতেই এই দুধ ঢালা হয়েছে। এর আগে একাধিকবার রজব আলী বাবলু নির্বাচনে অংশ নিয়ে তার ভায়রা মো. নুরুল ইসলামের কাছে পরাজিত হন। এবার তৃতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী ও তার ভায়রা মো. নুরুল ইসলামকে পরাজিত করে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন বাবলু। দলীয় প্রার্থী বিরুদ্ধে নির্বাচন করায় তাকে নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়।

গত ৯ জানুয়ারি চাটমোহরের ১১টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানরা শপথ গ্রহণ করেন। ১১ জানুয়ারি চাটমোহর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে ইউপি সদস্যরা শপথ নেন। বুধবার নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান রজব আলী বাবলু আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। প্রথম পরিষদে আগমন উপলক্ষে মঙ্গলবার দুধ, মধু, গোলাপজল দিয়ে চেয়ারম্যান, সচিবের কক্ষ ধুয়ে পরিষ্কার করেন তার কর্মী-সমর্থকরা। এ সংক্রান্ত ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেন তারা।

এদিকে বুধবার সকালে ঘোড়ার গাড়ি ও বাদ্যযন্ত্র নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদে আসেন চেয়ারম্যান রজব আলী বাবলু। সাধারণ সদস্য, সংরক্ষিত মহিলা সদস্যসহ চেয়ারম্যানের আত্মীয়-স্বজন, কর্মী-সমর্থকরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। এরপর দুধ, মধু ও গোলাপজল দিয়ে ধোয়া কক্ষে বসেন বাবলু।

এ বিষয়ে রজব আলী বাবলু বলেন, 'ছেলেরা এগুলো করেছে। আমি পরে শুনেছি।' তারা কক্ষের চাবি কোথায় পেল জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'চেয়ারম্যানের অফিস কক্ষের চাবি চৌকিদারের কাছে থাকে। চৌকিদারই রুম খুলে দিয়েছে।'

ইউপি সচিব মো. শহীদুল্লাহ জানান, 'বিষয়টি শুনেছি। তবে আমি সেই সময় ছিলাম না। গ্রাম পুলিশের কাছেই অফিসের চাবি থাকে। তারাই হয়তো রুম খুলে দিয়েছে।'

খবর: সমকাল

আপনার মন্তব্য

আলোচিত