সিলেটটুডে ডেস্ক

২৮ মে, ২০২২ ১৫:২৯

রেলস্টেশনে তরুণীকে হেনস্তা: ইচ্ছেমতো পোশাক পরে অন্যরকম প্রতিবাদ

সকাল সকাল নরসিংদী রেলস্টেশনে উপস্থিত প্রাণপ্রাচুর্যে ভরপুর ২০ তরুণ-তরুণী। তাদের পরনে জিন্স প্যান্ট, টি-শার্ট ও ফতুয়া। 'যেমন খুশি তেমন পোশাক' পরে তারা মূলত প্রতিবাদ জানাতে গিয়েছিলেন। যে স্টেশনে ক'দিন আগে পোশাকের কারণে এক তরুণী হেনস্তার শিকার হন, সেখানেই তারা যেন পোশাকের স্বাধীনতার বার্তা দিলেন। ব্যতিক্রমী এ কর্মসূচির নাম ছিল 'অহিংস অগ্নিযাত্রা'।

শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ঢাকা থেকে কিশোরগঞ্জগামী আন্তঃনগর এগারোসিন্দুর ট্রেনে তারা সেখানে যান। এ সময় তাদের আশপাশে দেখা যায় কৌতূহলী মানুষের ভিড়। নানা কায়দায় তারা সেখানে যাওয়ার উদ্দেশ্য তুলে ধরেন।
প্রতিবাদীরা বলেন, গত ১৮ মে নরসিংদী রেলস্টেশনে পোশাকের কারণে এক তরুণী আক্রমণ ও সহিংসতার শিকার হন। আমরা তার পাশে দাঁড়াতে চেয়েছি। তার সঙ্গে ঘটে যাওয়া অন্যায়ের প্রতিক্রিয়া হিসেবে আমরা এই স্টেশনে এসেছি। এটাই আমাদের প্রতিবাদ।

কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া ১৭ তরুণী ও তিন তরুণ বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত। অংশগ্রহণকারীরা অগ্নি ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ নামের একটি সংগঠনের নারীবাদী গ্রাসরুটস অর্গানাইজিং প্ল্যাটফর্ম 'মেয়ে নেটওয়ার্কে' যুক্ত। একটি স্টোরি টেলিং প্রকল্প হিসেবে তারা পিতৃতন্ত্রে নারীর আগুনে মোড়ানো পথের গল্পগুলো তুলে আনেন। ঢাকা-নরসিংদী যাত্রা এরই অংশ।

প্রতিবাদ কর্মসূচির সংগঠক ছিলেন অগ্নি ফাউন্ডেশনের সভাপতি তৃষিয়া নাশতারান। দলের অন্য সদস্যরা হলেন অপরাজিতা, সামিহা, সানজানা, স্মিতা, সুরভী, অ্যানি, আনোয়ার, অর্ণব, নুভা, মম, লক্ষ্মী, অন্তরা, মিশু, প্রমি, জিসা, নিশা, বিজু, ইফফাত ও নীল। তারা পেশায় শিল্পী, সংগঠক, নাট্যকর্মী, চলচ্চিত্র নির্মাতা, আলোকচিত্রী, গবেষক, উন্নয়নকর্মী ও প্রকৌশলী।

নরসিংদী রেলস্টেশনের মাস্টার এটিএম মুছা জানান, প্রতিবাদীরা স্টেশন ঘুরে দেখেছেন এবং এখানকার লোকজনের সঙ্গে কথা বলেছেন। তারা ওই দিনের ঘটনা সম্পর্কেও বিস্তারিত জানার চেষ্টা করেছেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত