সিলেটটুডে ডেস্ক

২০ জুন, ২০২২ ২০:০০

পদ্মা সেতু উদ্বোধনে সিলেটে উৎসব নয়

বন্যাকবলিত সিলেট অঞ্চলে পদ্মা সেতু উদ্বোধনের কোনো অনুষ্ঠান না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্ত্রিসভা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এই বৈঠক শেষে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের করা ব্রিফিংয়ে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘পদ্মা সেতু নিয়ে সব সময় আলোচনা হচ্ছে। বুধবার পদ্মা সেতু বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করে সবকিছু বলবেন প্রধানমন্ত্রী।’

পদ্মা সেতু উদ্বোধনের দিন ৬৪ জেলায় যে উৎসবের কথা আগে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল সে সিদ্ধান্তে পরিবর্তন আসছে কিনা জানতে চাইলে খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘সিলেটের বিষয়টি রিভিউ করতে বলা হয়েছে।’

আগামী ২৫ জুন দেশের অন্যতম মেগা প্রকল্প পদ্মা সেতু উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরদিন থেকে সেতুটি সাধারণের চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে।

গত বছরের ১০ ডিসেম্বর শেষ হয় পদ্মা সেতুর স্প্যান বসানোর কাজ। আর এর মধ্য দিয়ে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ মূল সেতুর পুরোটা দৃশ্যমান হয়।

দেশের সবচেয়ে বড় এই সেতু নির্মাণে শুরু থেকে অর্থায়ন জটিলতা ছাড়াও নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা করতে হয়েছে। সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়ায় নদীর তলদেশের ভূস্তরের গঠনজনিত জটিলতা। এজন্য ৪২টি পিলারের মধ্যে ১৪টির নকশা পাল্টাতে হয়েছে। সেটির সমাধানও হয়েছে অভিনব উপায়ে।

২০১৪ সালের ৭ ডিসেম্বর পদ্মা সেতুর মূল নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ২০১৫ সালের ১২ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেতুর মূল কাজের ভিত্তি স্থাপন করেন।

সরকারের সম্ভাব্যতা জরিপে বলা হয়, সেতুটি নির্মিত হলে দেশের জিডিপি ১ দশমিক ২ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে। এতে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের মানুষের আয় বাড়বে ১ দশমিক ৪ শতাংশ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে ৭ লাখ ৪৩ হাজার মানুষের।

জাপান সরকারের উন্নয়ন সংস্থা জাইকার সমীক্ষায় বলা হয়, পদ্মা সেতুর কারণে জিডিপি বাড়বে ১ দশমিক ২ শতাংশ। আর এই সেতু দিয়ে প্রতিদিন গড়ে ২১ হাজার ৩০০ যান চলাচল করবে। ২০২৫ সাল নাগাদ এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে ৪১ হাজার ৬০০।

অন্যদিকে বিশ্বব্যাংকের সমীক্ষায় বলা হয়, পদ্মা সেতু চালু হলে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে ১ শতাংশ হারে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত