সিলেটটুডে ডেস্ক

১৯ ডিসেম্বর, ২০১৫ ২০:৪৬

পৌর নির্বাচনে সেনা মোতায়েন হচ্ছে না

পৌর নির্বাচনে নিরাপত্তা রক্ষায় সেনাবাহিনী যোগ হচ্ছে না। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ‘পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে’ রয়েছে বলে পৌর নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের কোনো প্রয়োজন দেখছেন না প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ।

ভোটের প্রচারণায় বিধি ভঙ্গের যে অভিযোগ উঠেছে, তাও ঠিক নয় বলে তার মত। তিনি বলছেন, বিচ্ছিন্ন দুই-একটি ঘটনা ছাড়া আচরণ বিধি মেনেই নির্বাচনী প্রচার চলছে।

২৩৪ পৌরসভায় ভোটের ১০ দিন আগে শনিবার আইনশৃঙ্খলা নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও বিভিন্ন বাহিনীর প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করেন সিইসিসহ নির্বাচন কমিশনাররা।

শনিবার (১৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর বিয়াম মিলনায়তনে ওই বৈঠকের পর কাজী রকিব সাংবাদিকদের বলেন, “আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। উদ্বেগ-আশঙ্কার কোনো কারণ নেই।”

পুলিশ, আনসার-ভিডিপি ও ব্যাটালিয়ান আনসার সদস্যরা থাকবেন আগামী ৩০ ডিসেম্বর ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তায়। মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে বিজিবি, র‌্যাব, এপিবিএন, কোস্টগার্ড ও পুলিশ সদস্যরা থাকবেন।

সেনা মোতায়েনের কোনো সম্ভাবনা রয়েছে কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, “বিজিবি-র‌্যাব বলেছে, তারা ফোর্স বাড়িয়ে দেবে। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি তাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সেনা মোতায়েনের কোনো পরিস্থিতি হয়নি।”

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পুলিশ, বিজিবি, র‌্যাবসহ আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তা, রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের নিয়ে এই বৈঠক করে ইসি। সশস্ত্র বাহিনীর কোনো প্রতিনিধি এ বৈঠকে ছিলেন না।

জানা যায়, সাড়ে তিন হাজারেরও বেশি ভোট কেন্দ্রে প্রায় ৭০ হাজার নিরাপত্তা সদস্য থাকবে। স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেববে এসব এলাকায় সাড়ে ৪ হাজার সদস্য নিয়োজিত থাকবে; এর বাইরে টহলে ও রিজার্ভে বিভিন্ন বাহিনীর অন্তত ৫-৮ হাজার সদস্য রাখার হবে।

আগামী ৩০ ডিসেম্বর ২৩৪ পৌরসভায় এক যোগে ভোট হবে। এতে ২০টি দল ও স্বতন্ত্র মিলিয়ে মেয়র পদে ৯২৩ প্রতিদ্বন্দ্বী রয়েছেন। সাধারণ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে লড়াইয়ে রয়েছেন আরও ১১ হাজারের বেশি প্রার্থী।

সাড়ে তিন হাজার ভোটকেন্দ্রের এসব পৌরসভায় ভোটার রয়েছে প্রায় ৭১ লাখ।

ইতোমধ্যে ভোটে থাকা অনেক স্বতন্ত্র প্রার্থী ও এনপিপি পৌরসভায় সেনা মোতায়েনের দাবি জানিয়েছে। বিএনপির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে সেনা মোতায়েন না চাইলেও সিইসির সঙ্গে বৈঠকের পর দলটির নেতা আবদুল মঈন খান বলেছেন, “ভোটারদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দিতে যা দরকার, ইসিকে তা করতে হবে।”

কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ নেতৃত্বাধীন বর্তমান ইসি গত বছরের উপজেলা নির্বাচনে অনেকের দাবির পরও সেনা মোতায়েনের পথে এগোয়নি।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত