সিলেটটুডে ডেস্ক

২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ১৭:১২

ঘরে ঘরে ‘চোখ ওঠা’ রোগ, আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ

বসন্তের শুরুতে চোখ ওঠা বা ‘কনজাংকটিভাইটিস’ রোগের উপদ্রব হয়। বর্তমানে রাজধানীসহ সারাদেশে হঠাৎ করে এই রোগ ছড়িয়ে পড়েছে। এতে দেখা যাচ্ছে প্রায় প্রতিটি ঘরেই একাধিক ব্যক্তি রোগটিতে আক্রান্ত হচ্ছেন। রোগটি এক প্রকার মহামারী আকার ধারণ করেছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চোখের কনজাংটিভাইটিস রোগটি অত্যন্ত ছোঁয়াচে হওয়ায় তা সবার মধ্যে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। তবে ৭ থেকে ১০ দিন পর তা এমনিতেই ঠিক হয়ে যায়। তাই কারও কনজাংটিভাইটিস হলে আতঙ্কিত না হয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। কিন্তু স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাসহ যেখানে ওষুধের প্রয়োজন, সেখানে দেখা দিয়েছে প্রয়োজনীয় ওষুধের স্বল্পতা।

ওষুধ সংকটের কাজটি করে একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী। তারা দাম বাড়িয়ে সংকট ঘনীভূত করে। মানুষের জীবন-মরণ খেলা যেন তাদের কাছে কিছুই নয়। ভাইরাল কনজাংটিভাইটিসে আক্রান্ত হওয়ার পর আবার ব্যাকটেরিয়াল কনজাংটিভাইটিসে আক্রান্ত হচ্ছেন। এতে চোখে ময়লা জমা, চোখ বন্ধ হয়ে যাওয়াসহ মারাত্মক প্রদাহের সৃষ্টি হয়। এ ধরনের রোগীদের সেরে উঠতে প্রায় ২১ দিন লেগে যায়।
এবারের সংক্রমণকারী ভাইরাস বেশ শক্তিশালী। তাই ওষুধের প্রয়োজন বেশি হচ্ছে। এই অবস্থায় ওষুধের সংকট সৃষ্টি যারা করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। এর পাশাপাশি আমাদের সবার সচেতন হতে হবে।

বিশেষ করে অসুস্থ ব্যক্তিকে পরিবারের অন্য সদস্যদের থেকে আলাদা থাকতে হবে। শিশুর কনজাংটিভাইটিস হলে স্কুলে না পাঠানো, কর্মজীবী হলে কর্মস্থলে যাওয়া যাবে না। এড়িয়ে চলতে হবে জনবহুল স্থান। আক্রান্ত ব্যক্তিদের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলতে হবে। বারবার সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে ফেলতে হবে। আক্রান্ত হলে দ্রুত নিতে হবে চিকিৎসকের পরামর্শ। তবেই এ ভাইরাস থেকে নিজে রক্ষা পাওয়া যাবে এবং অন্যকে রক্ষা করা যাবে। তাই সবার স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা জরুরি।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত