সিলেটটুডে ডেস্ক

১০ ডিসেম্বর, ২০২২ ১৪:৫৯

খালেদা জিয়ার বাসার সামনে চেকপোস্ট, বাড়তি পুলিশ মোতায়েন

বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে যেকোনো ধরনের নাশকতা প্রতিহত করতে রাজধানীর মোড়ে মোড়ে বসানো হয়েছে পুলিশি পাহারা।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের পাশাপাশি র‌্যাব, গোয়েন্দা সদস্যরাও সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন।

গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বাসভবনের সামনের সড়কে চেকপোস্ট বসানোর পাশাপাশি বাড়তি পুলিশ মোতায়েন আছে।

ডিএমপির প্রায় ২০ হাজার পুলিশের পাশাপাশি পর্যাপ্ত এপিবিএন ও আনসার সদস্য নগরীজুড়ে দায়িত্ব পালন করছেন।

সমাবেশ ঘিরে নাশকতার শঙ্কা থেকেই নিরাপত্তার এ আয়োজন বলে জানিয়েছেন পুলিশের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা।

তারা বলছেন, গত ৭ ডিসেম্বর নয়াপল্টনের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে বেশি সতর্ক পুলিশ। সমাবেশে যোগ দিতে যাওয়া মিছিলগুলো নিয়ে বেশি শঙ্কা।

মিছিলগুলো শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশস্থলে যাওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করেন ডিএমপি ডিবিরপ্রধান হারুন অর রশীদ।

রাজধানীর নাইটিঙ্গেল মোড়ে শনিবার দুপুরে তিনি বলেন, ‘ঢাকা শহরের প্রতিটি এলাকায় আমাদের পুলিশ কাজ করছে। কোথাও কোনো ঝামেলা নেই। মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে চলাচল করছে। তারা মিছিল যেভাবে নিয়ে যাওয়ার কথা, তারা ভালোভাবে মাঠে পৌঁছেছে।

‘আমাদের প্রায় ২০ হাজারের মতো পুলিশ সমাবেশকে কেন্দ্র করে ঢাকা শহরে কাজ করছে। আমরা মনে করি, প্রোগ্রামটি সুন্দরভাবে শেষ হবে। আমরাও দেখভাল করছি।’

শনিবার সকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক ঘুরে দেখা যায়, সব জায়গায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সতর্ক অবস্থান। নয়াপল্টনে বিএনপি কার্যালয়ের সামনের সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে ডাইভারশন দেয়া হয়েছে। বায়তুল মোকাররম সড়ক, গুলিস্তান, সায়েদাবাদে রয়েছে বাড়তি পুলিশ মোতায়েন। ধানমন্ডি-গুলশানেও আছে পুলিশের সতর্ক অবস্থান।

খালেদা জিয়ার বাসভবনের সামনে বাড়তি পুলিশ মোতায়েনের কারণ হিসেবে ডিএমপির গুলশান বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘সমাবেশ শেষে বা চলাকালে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা নেতা-কর্মীরা খালেদা জিয়ার বাসভবনের সামনে জড়ো হতে পারেন। এই এলাকায় বিভিন্ন দেশের অ্যাম্বাসি রয়েছে; চলাচল আছে বিদেশি নাগরিকদের। যেকোনো ধরনের জমায়েত এড়াতে গুলশানের প্রবেশমুখগুলোতে চেকপোস্ট ও বাড়িতে পুলিশ রয়েছে।’

পুলিশের পাশাপাশি র‌্যাবও গোলাপবাগে সমাবেশস্থল ও রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে টহল জোরদার করেছে। সমাবেশস্থলে রয়েছে তাদের হেলিকপ্টার টহল।

র‌্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জানান, তারা নাশকতার কোনো আশঙ্কা করছেন না, তবে সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন।

র‌্যাবের গোয়েন্দা শাখার প্রধান লেফটেন্যান্ট কর্নেল মশিউর রহমান জুয়েল বলেন, ‘আমাদের কাছে বিএনপির সমাবেশ ঘিরে এখনও কোনো নাশকতার তথ্য নেই। যদি কেউ নাশকতার চেষ্ট করে তা প্রতিহত করা হবে। আমরা সার্বিকভাবে প্রস্তুত আছি।’

সায়েদাবাদে শনিবার র‌্যাবের নেয়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শনে গিয়ে বাহিনীটির গোয়েন্দাপ্রধান বলেন, ‘নাশকতা রোধে আমাদের সাদা পোশাকে র‌্যাব সদস্য মোতায়েন রয়েছে, গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা কাজ করছে; সাইবার প্যাট্রলিং চলছে।

‘আমরা সার্বিক পরিস্থিতি মনিটর করছি। আমরা বলতে চাই, বিএনপি তাদের সমাবেশ শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করুক। আমরা সেটাই চাই, তবে যদি বিশৃঙ্খলা নাশকতামূলক পরিস্থিতির সৃষ্টির চেষ্টা করা হয়, তাহলে প্রতিহত করা হবে। আমরা প্রস্তুত আছি।’

আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘দেশ ও দেশের বাইরে থেকে উসকানিমূলক কার্যক্রম পরিচালিত হয়। সমাবেশ ঘিরে উসকানি আসছে। তাতে সাধারণ মানুষ কান দেবে না।’

এদিকে বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশ ঘিরে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদারে দেখা যায় হেলিকপ্টার টহল ও ড্রোনের ব্যবহার।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত