নিজস্ব প্রতিবেদক

০১ জানুয়ারি, ২০২৩ ১২:২৭

সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের নেতৃত্বে হাসিনা-নবেল

সিলেট জেলা প্রেস ক্লাবের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন উৎসবমুখর পরিবেশে সম্পন্ন হয়েছে। এবার সিলেটের সাংবাদিকতার শতবছরের ইতিহাসে প্রথম একজন নারী সভাপতি বিজয়ী হলেন। এ পদে হাসিনা বেগম চৌধুরী নির্বাচিত হয়েছেন। সাধারণ সম্পাদক পদে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন শাহ্ দিদার আলম চৌধুরী নবেল। এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো সাধারণ সম্পাদক হলেন নবেল।

বিশিষ্ট সাংবাদিক-অধ্যক্ষ ও কবি মরহুম মহিউদ্দিন শীরুর সহধর্মীনি হাসিনা সিলেটের প্রবীণ সাংবাদিক অধ্যক্ষ লিয়াকত শাহ্ ফরিদীকে মাত্র ৩ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেছেন। শাহ্ দিদার আলম চৌধুরী নবেল দেবাশীষ দেবুকে ৩৬ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেছেন।

শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) রাত পৌনে ১১টায় সিলেট নগরের পূর্ব জিন্দাবাজারের বারুতখানার সিলমার্ট কমপ্লেক্সে সিলেট জেলা প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে এ ফলাফল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার অ্যাডভোকেট এ কে এম শমিউল আলম।

এর আগে শনিবার দুপুর ২টা থেকে ৫টা পর্যন্ত ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা আর উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন হয়। নির্বাচন চলাকালীন সময়ে সিলেটের সর্বস্তরের রাজনীতিবিদ, সামাজিক সংগঠনের নেতারা, সুধী সমাজের প্রতিনিধিরা নির্বাচনের ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন। এসময় সিলেট জেলা প্রেস ক্লাব বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের মিলনমেলায় পরিণত হয়।

নির্বাচনে হাসিনা-নবেল পরিষদ অভূতপূর্ব বিজয় অর্জন করেছে। কার্যনির্বাহী পরিষদের ১৫টি পদের মধ্যে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদসহ ১২টিতেই বিজয়ী হয়েছেন এই প্যানেলের প্রার্থীরা। অন্য দুটি পদে বিজয়ী হয়েছেন ফরিদী-দেবু পরিষদের প্রার্থীরা। এছাড়া একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়লাভ করেছেন।

কে কত ভোট পেলেন:

সভাপতি পদে লিয়াকত শাহ ফরিদী ৫৫ ভোট ও হাসিনা বেগম চৌধুরী পেয়েছেন ৫৮ ভোট।

সহ-সভাপতি (প্রথম) পদে এস সুটন সিংহ পেয়েছেন ১০ ভোট, মনিরুজ্জামান মনির ৫৬ ভোট ও মুকিত রহমানী ৪৯ ভোট। সহ-সভাপতি (দ্বিতীয়) সজল ঘোষ পেয়েছেন ৫৩ ভোট ও সাঈদ চৌধুরী টিপু ৬১ ভোট।

সাধারণ সম্পাদক পদে দেবাশীষ দেবু পেয়েছেন ৩৯ ভোট ও শাহ দিদার আলম নবেল ৭৫ ভোট।

সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে মো আব্দুল কাইয়ুম পেয়েছেন ৫০ ভোট ও রবি কিরণ সিংহ (মাইস্লাম রাজেশ) ৬২ ভোট।

কোষাধ্যক্ষ পদে আনন্দ সরকার পেয়েছেন ৭৩ ভোট ও সাদিকুর রহমান সাকী ৪২ ভোট।

ক্রীড়া ও সংস্কৃতি সম্পাদক পদে ইউসুফ আলী পেয়েছেন ৩২ ভোট ও মিঠু দাস জয় ৭৯ ভোট।

প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে মো. একরাম হোসেন ৫৩ ভোট ও সুলতান সুমন পেয়েছেন ৫৬ ভোট।

তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদে মো এনামুল কবীর পেয়েছেন ৫৪ ভোট ও রায়হান উদ্দিন ৪৯ ভোট।

পাঠাগার সম্পাদক পদে মো. আলী আকবর চৌধুরী (কোহিনূর) পেয়েছেন ৫৩ ভোট ও মো আবু বক্কর ৫৪ ভোট।

দপ্তর সম্পাদক পদে মো. আব্দুল আহাদ ৫৩ ভোট ও মনিরুজ্জামান রনি পেয়েছেন ৪৯ ভোট।

নির্বাহী সদস্য পদে মো. আনোয়ার হোসেন ৫৭ ভোট, এ এইচ আরিফ ৪৩ ভোট, মো ছয়ফুল আলম অপু ৩৪ ভোট, মাহমুদ হোসেন ৬০ ভোট, রনজিৎ কুমার সিংহ  ৫৬ ভোট, মো. শাহীন আহমদ পেয়েছেন ৬৮ ভোট।

অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে দুটি প্যানেল ও স্বতন্ত্রসহ ২৯ জন প্রার্থী অংশ নেন। নির্বাচন পরিচালনায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে ছিলেন সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এ কে এম শমিউল আলম। এছাড়া নির্বাচন কমিশনার হিসেবে ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সিলেট মহানগর ইউনিটের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা ভবতোষ রায় বর্মন ও সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সিলেটের সভাপতি ফারুক মাহমুদ চৌধুরী। ভোটগণনা শেষে রাতে তারা ফলাফল ঘোষণা করেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত