সিলেটটুডে ডেস্ক

০৯ মে, ২০২৩ ১২:২৭

দুবাইয়ে পলাতক আরাব খানের ১০ বছরের কারাদণ্ড

পুলিশ পরিদর্শক হত্যা মামলার আসামি দুবাইয়ের আলোচিত স্বর্ণ ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম ওরফে আরাব খানকে অস্ত্র আইনের এক মামলায় ১০ বছরের কারাদণ্ডের সাজা দিয়েছে আদালত।

মঙ্গলবার (৯ মে) ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মুর্শিদ আহাম্মদ রায় ঘোষণা করেন। রায়ে কারাদণ্ডের পাশাপাশি আরাবকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

আদালতের পেশকার আবুল কাশেম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

২০১৫ সালের ২৮ জানুয়ারি শ্বশুর সেকেন্দার আলীকে ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করতে মগবাজারে তার বাসায় গেলে পিস্তলসহ আরাবকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে রমনা মডেল থানায় অস্ত্র আইনে মামলা হয়।

পরে ২০১৮ সালের ১৪ মার্চ জামিন পেয়ে পালিয়ে যান আরাব। ওই বছরের ২৪ অক্টোবর তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আদালত।

আলোচিত আরাব খান এখন অবস্থান করছেন দুবাইয়ে। সম্প্রতি সেখানে তিনি ইন্টারপোলের মাধ্যমে গ্রেপ্তার হয়ে এক মাস সাত দিন জেল খেটেছেন বলে ফেসবুকে এসে জানিয়েছেন নিজেই। তার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিস রয়েছে।

পুলিশ পরিদর্শক মামুন এমরান খাঁন হত্যা মামলার আসামি আরাব খান ওরফে রবিউল ইসলাম আলোচনায় আসেন গত মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে গোল্ড জুয়েলারি শপ ‘আরাব জুয়েলার্স’ উদ্বোধন ঘোষণাকে কেন্দ্র করে এ আলোচনা শুরু হয়। শপটির লোগো বানানো হয় ৬০ কেজি স্বর্ণ দিয়ে।

আরাবের এই জুয়েলারি শপের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পান বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। এ নিয়ে সাকিব আল হাসানের ভিডিওবার্তার পর বিষয়টি নজরে আসে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি)।

সে সময় ডিবি মতিঝিল বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেছিলেন, ‘পুলিশ পরিদর্শককে হত্যা মামলার চার্জশিট হয়েছে অনেক আগেই। রবিউল চার্জশিটভুক্ত পলাতক আসামি। জুয়েলারি শপ উদ্বোধনের ঘোষণার পর আইডেন্টিফাই করি, যে ব্যক্তি আরাব খান নামে আইডিটি পরিচালনা করছেন, তিনি পুলিশ পরিদর্শক মামুন এমরান খাঁন হত্যা মামলার আসামি রবিউল ইসলাম। তার ভারতীয় একটি পাসপোর্ট ও বাংলাদেশি পাসপোর্ট আমাদের কাছে রয়েছে।’

রবিউলকে ইন্টারপোলের সহায়তায় দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করার প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে জানিয়েছিলেন ডিবি মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার রাজিব আল মাসুদ।

তিনি বলেছিলেন, ‘আমরা তাকে অনেক দিন ধরেই খুঁজছিলাম। দুবাইতে তিনি অবস্থান করছেন, এটা নিশ্চিত হওয়া গেছে। ফলে এখন আমরা ইন্টারপোলের মাধ্যমে তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা নেব।’ফেরারি আসামি আরাব খানের মালিকানাধীন আরাব জুয়েলার্স উদ্বোধন হয় ১৫ মার্চ রাতে। দুবাইয়ে নিউ গোল্ড সোক হিন্দ প্লাজার ৫ নম্বর ভবনের ১৬ নম্বর দোকানটি তার।

এক পর্যায়ে দুবাইয়ে থাকা আরাবের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড নোটিশ জারি করা হয়। এর পর থেকেই ফেসবুকসহ কোনো মাধ্যমেই তাকে পাওয়া যাচ্ছিল না। সম্প্রতি এসব মাধ্যমে আবার সরব হয়েছেন তিনি।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত