সিলেটটুডে ডেস্ক

০২ মার্চ, ২০২৪ ০১:৫৬

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ড

বেইলি রোডের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের খবর বিশ্বের বিখ্যাত সব গণমাধ্যমে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে ছাপা হয়েছে।

বৃহস্পতিবারের (২৯ ফেব্রুয়ারি) এ ভয়াবহ আগুনে অন্তত ৪৬ জন নিহত হয়েছে। আরও ১২ জনের অবস্থা শঙ্কাজনক।

ব্রিটিশ সম্প্রচার মাধ্যম বিবিসি অনলাইন বেইলি রোডের আগুনের ঘটনা ঘণ্টাখানেক আগে লিড নিউজ করেছে। তাদের শিরোনাম, বাংলাদেশে অগ্নিকাণ্ড : ঢাকার একটি ভবনে আগুন লেগে অন্তত ৪৬ জন নিহত।

যুক্তরাজ্যের আরেক বিখ্যাত গণমাধ্যম গার্ডিয়ানের শিরোনাম করা হয়েছে, বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় অগ্নিকাণ্ডে নিহত কয়েক ডজন।

সংবাদ সংস্থা রয়টার্সে শিরোনাম করা হয়েছে, বাংলাদেশে ভবনে আগুনে নিহত অন্তত ৪৬, আহত আরও কয়েক ডজন।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, ঘনবসতির ঢাকায় অগ্নিকাণ্ড একটি সাধারণ ঘটনা। বাংলাদেশের নতুন ভবনগুলোতেও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা বেড়েছে। ভবনে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকা অগ্নিকাণ্ডের প্রধান কারণ। গ্যাস সিলিন্ডার ও এয়ারকন্ডিশনার বিস্ফোরণ, দুর্বল বৈদ্যুতিক তার সঞ্চালনের এসব অগ্নিকাণ্ডের প্রধান উৎস।

ভয়েস অব আমেরিকা প্রায় ১২ ঘণ্টা আগে বেইলি রোডের গ্রিন কজি কটেজে অগ্নিকাণ্ড নিয়ে খবর প্রকাশ করেছে। তখন তাদের শিরোনাম ছিল বাংলাদেশের রেস্টুরেন্টে অগ্নিকাণ্ডে নিহত অন্তত ৪০।

কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আলজাজিরার সংবাদ শিরোনাম ছিল, বাংলাদেশে শপিংমলে অগ্নিকাণ্ডে নিহত অন্তত ৪৫।

আরব নিউজের শিরোনাম, বাংলাদেশে আগুনে নিহত বেড়ে ৪৬, ভবনে যথাযথ নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকার অভিযোগ।

ভারতের সংবাদ সংস্থা এএনআইয়ের প্রতিবেদনের শিরোনাম ছিল, বাংলাদেশ : ঢাকার বেইলি রোডে ভয়াবহ আগুনে নিহত অন্তত ৪৪।

এএনআইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা জানান, ভবনটির নিচতলায় একটি রেস্টুরেন্টের রান্না ঘর ছিল। সেখানে অনেক গ্যাস সিলিন্ডার ছিল। আগুন লেগে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়। বের হওয়ার পথ বিষাক্ত গ্যাস ও ধোঁয়ায় ভরে যায়। তাই এ পথ দিয়ে বহুতল ভবনটির আটকা পড়ারা বের হতে পারেনি।

উল্লিখিত আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ও সংবাদ সংস্থাগুলো ছাড়াও এপি, এএফপি, সিএনএন, ডয়েচে ভেলে, হিন্দুস্তান টাইমস ও এনডিটিভিসহ বিশ্বের আরও অনেক গণমাধ্যমে বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডের খবর বিস্তারিত ছাপা হয়েছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত