সিলেটটুডে ডেস্ক

২২ মার্চ, ২০২৪ ১১:১৪

প্রস্তুত ‘আটলান্টা অপারেশনের’ যুদ্ধজাহাজ

আটলান্টা অপারেশনের যুদ্ধজাহাজ

সাগরে সোমালিয়ান জলদস্যুদের হাতে জিম্মি বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর কাছেই ইইউএনএভিএফওআর আটলান্টা অপারেশনের একটি যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ১২টার দিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নৌবাহিনীর ওই সংস্থাটি তাদের এক্স হ্যান্ডেলে (সাবেক টুইটার) বিষয়টি জানিয়েছে।

ইইউএনএভিএফওআর বলছে, ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে দস্যুতার একাধিক ঘটনা ঘটেছে। তিনটি বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা হয়েছে। যার মধ্যে একটি, এমভি আবদুল্লাহ এখনো জলদস্যুদের নিয়ন্ত্রণে আছে। ওই এলাকায় আটলান্টা অপারেশনের যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন আছে।

পোস্টে যুক্ত একটি সংক্ষিপ্ত ভিডিওতে এমভি আবদুল্লাহর অদূরেই ইইউএনএভিএফওআর এর যুদ্ধজাহাজটিকে অবস্থান করতে দেখা গেছে। এছাড়া একটি হেলিকপ্টারও এমভি আবদুল্লাহর কাছাকাছি চক্কর দিতে দেখা যায়।

পূর্ব আফ্রিকা উপকূলে জলদস্যুতা নির্মূলে কাজ করে যাওয়া ইউরোপীয় ইউনিয়ন নেভাল ফোর্সও তাদের ‘অপারেশন আটলান্টার’ অংশ হিসেবে এমভি আবদুল্লাহর ওপর নজর রাখছে বলে শুরু থেকেই জানিয়ে আসছে।

ইইউএনএভিএফওআর এর পোস্টে যুদ্ধজাহাজ মোতায়েনের কথা বলা হলেও কোনো ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে বলা হয়নি।

এই পোস্টের সাথে সংযুক্ত একটি প্রতিবেদনে, ২০২৩ সালের ২৪ নভেম্বর থেকে চলতি বছরের ২১ মার্চ পর্যন্ত গত প্রায় চার মাসে এডেন উপসাগর ও সোমালি সমুদ্রসীমায় ২৪ টি জলযানে দস্যুতা, ডাকাতি, ছিনতাই ও দখলচেষ্টার ঘটনার উল্লেখ করা হয়।

মোজাম্বিক থেকে ৫৫ হাজার টন কয়লা নিয়ে আরব আমিরাত যাওয়ার পথে গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগরের সোমালি জলদস্যুদের কবলে পড়ে এমভি আবদুল্লাহ। জলদস্যুরা জাহাজটির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ২৩ নাবিকের সবাইকে জিম্মি করে। নাবিকরা সবাই বাংলাদেশি। জলদস্যুদের সঙ্গে প্রথমবারের মত কোনো তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে যোগাযোগ হওয়ার তথ্য গত বুধবার জানায় জাহাজটির মালিকপক্ষ।

এর আগে বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজটি এবং জিম্মি নাবিকদের জলদস্যুদের হাত থেকে মুক্ত করতে সোমালিয়ার পান্টল্যান্ড পুলিশ এবং আন্তর্জাতিক নৌবাহিনী অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে দেশটির পান্টল্যান্ড অঞ্চলের পুলিশের বরাতে সোমবার রয়টার্সে খবর এসেছে। কিন্তু নাবিকদের ‘নিরাপত্তায়’ এমভি আবদুল্লাহ উদ্ধারে কোনো অভিযান চায় না জাহাজটির মালিক প্রতিষ্ঠান।

এমভি আবদুল্লাহর মালিকপক্ষ কবির গ্রুপের মিডিয়া ফোকাল পার্সন মিজানুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেছেন, জাহাজের নাবিকদের নিরাপত্তার স্বার্থে তারা কোন ধরনের সামরিক পদক্ষেপে সমর্থন করেন না। বাংলাদেশ সরকারেরও একই চাওয়া।

জলদস্যুদের হাতে ছিনতাই হওয়ার পর বেশ কয়েকবার অবস্থান বদলে বর্তমানে জাহাজটি সোমালিয়ার পান্টল্যাণ্ড অঞ্চলের উপকূলের মাত্র দেড় নটিক্যাল মাইল দূরে অবস্থান করছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত