সিলেটটুডে ডেস্ক

২২ জানুয়ারি, ২০১৬ ২১:৫১

পাকিস্তান হাইকমিশন থেকে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করা হচ্ছে

পাকিস্তান হাইকমিশন থেকে প্রতিনিয়ত বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করা হচ্ছে। সেখান থেকে জাল নোট ছাপানো হচ্ছে,  জঙ্গিবাদীদের অর্থায়ন করা হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করাই এর একমাত্র সমাধান বলে মন্তব্য করেছেন গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার।
 
শুক্রবার (২২ জানুয়ারি) রাজধানীর শাহবাগ প্রজন্ম চত্বরে গণজাগরণ মঞ্চের পাকিস্তান ঘেরাও কর্মসূচিতে পুলিশের হামলার প্রতিবাদে আয়োজিত গণসমাবেশে এ মন্তব্য করেন তিনি।
 
ডা. ইমরান এইচ সরকার বলেন,  'পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে গুলশানে গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। ব্যাংক কর্মকর্তা রাব্বী, সিটি কর্পোরেশন কর্মকর্তা বিকাশসহ অন্যান্য হামলা যখন পুলিশ ধামাচাপা দেওয়ার  চেষ্টা করছে, তখনই পুলিশ এসব ঘটনা ঘটাতে সাহস পাচ্ছে। পাকিস্তান হাইকমিশনে গণজাগরণ মঞ্চের শান্তিপূর্ণ ঘেরাও কর্মসূচিতে পুলিশ উস্কানি ছাড়াই হামলা চালিয়েছে। কর্মসূচিতে পুলিশের বাধা দেওয়ার ধরন দেখে মনে হয়েছে কিছু পুলিশ সদস্য পথভ্রষ্ট হয়েছেন। তাদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিতে হবে।'
 
সব হামলা উপেক্ষা করে গণজাগরণ মঞ্চ আন্দোলন চালিয়ে যাবে মন্তব্য করে ডা. ইমরান বলেন,  'পাকিস্তান হাইকমিশন থেকে প্রতিনিয়ত বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করা হচ্ছে। সেখান থেকে জাল নোট ছাপানো হচ্ছে,  জঙ্গিবাদীদের অর্থায়ন করা হচ্ছে। সরকারের উচিত নতজানু পররাষ্ট্রনীতি পরিহার করে পাকিস্তানের এসব কর্মকাণ্ড প্রতিহত করা।'
 
এ সময় একাত্তরের গণহত্যা,  বাংলাদেশি কূটনীতিককে ফেরত পাঠানোর জন্য পাকিস্তানকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার এবং  ১৯৫ জন পাকিস্তানি যুদ্ধাপরাধীর বিচারের পাশাপাশি বাংলাদেশের সব পাওনা মিটিয়ে দিতে পাকিস্তানের প্রতি আহ্বান জানায় গণজাগরণ মঞ্চ। মঞ্চের কর্মীরা পাকিস্তান দূতাবাস বন্ধেরও দাবি করেন।

ইমরান আরও বলেন, পাকিস্তান এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে স্বীকার করে না। এ দেশে চালিয়ে যাওয়া তাদের গণহত্যার দায় স্বীকার করছে না। তাই তাদের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক বাংলাদেশের জন্য কোনো সুবিধাজনক বিষয় নয়।

ইমরান বলেন, আমরা বহুবার টানা কর্মসূচি পালন করার পরও সরকার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় সে দেশের দূতাবাস ঘেরাও করতে গিয়েছিলাম। কিন্তু পুলিশ আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে আক্রমণ করেছে। যখন কোনো শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে এভাবে আক্রমণ করা হয়, তখন বুঝতে হবে এখানে অন্য কোনো উদ্দেশ্য আছে।

গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের রায় কার্যকরের পরপরই গণহত্যার দায় অস্বীকার করে পাকিস্তান বিবৃতি দিচ্ছে। সরকারের উচিত, পাকিস্তানের এসব অপচেষ্টাকে প্রতিহত করার ব্যবস্থা নেওয়া। পাকিস্তানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করাই এর একমাত্র সমাধান।

গণজাগরণ কর্মী শিবলী হাসানের সঞ্চালনায় সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন মঞ্চের সংগঠক মারুফ রসুল, ভাস্কর রাসা, রহমান মুফিজ, আরিফ নুর প্রমুখ।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত