সিলেটটুডে ডেস্ক

০৮ ফেব্রুয়ারি , ২০১৬ ১৫:৪৮

প্রধান বিচারপতি খালেদার এজেন্ট: শামসুদ্দিন মানিক

অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেছেন প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা খালেদা জিয়া ও বিএনপির এজেন্ট হয়ে কাজ করছেন। তিনি প্রধান বিচারপতির পদত্যাগও দাবি করেন।

সোমবার(৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সুপ্রিমকোর্টের বাইরে মাজার গেট সংলগ্ন বটতলায় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে এক পর্যায়ে এ মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘গতকাল (রোববার) সুপ্রিমকোর্টের রেজিস্ট্রার অফিস থেকে আমার বিষয়ে যে প্রেস বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়েছে তা বিভ্রান্তিকর। আমার বক্তব্যকে টুইস্ট করা হয়েছে। গতকাল আমি সংবাদ সম্মেলনে করিনি।’ তবে অনেক ‘নতুন তথ্য’ নিয়ে সামনে সংবাদ সম্মেলন করবেন বলে জানান তিনি।

বার সভাপতি, অ্যাটর্নি জেনারেল এবং প্রধান বিচারপতির ‘মতে’ আপনার সাম্প্রতিক কার্যক্রমে বিচারবিভাগের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, ‘দেখেন, চিফ জাস্টিসতো নিজেই বলেছেন, তিনি শান্তি কমিটির সদস্য ছিলেন এবং সাকা চৌধুরীর পরিবারের সঙ্গে মিটিং করেছেন। এতে করে কি বিচার বিভাগের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হচ্ছে না?’

গত ৭ ফেব্রুয়ারি সুপ্রিমকোর্টের বিচারকাজ চলাকালীন কোর্ট প্রাঙ্গণে অবসরপ্রাপ্ত বিচারতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী একটি প্রেস কনফারেন্স করেন।যদিও সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গণে এ ধরনের প্রেস কনফারেন্স নজিরবিহীন। সেখানে তিনি অভিযোগ করেন, সমাপ্ত হওয়া রায় ও আদেশগুলো গ্রহণ করা হচ্ছে না।

এরপর এক বিজ্ঞপ্তিতে সুপ্রিমকোর্ট বলেন, ওই বক্তব্য প্রধান বিচারপতির গোচরে এলে প্রধান বিচারপতি সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারক বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহহাব মিঞার দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি প্রধান বিচারপতিকে অবহিত করেন যে, সাবেক বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী তার কাছে লিখিত রায় কিংবা আদেশ গ্রহণ করার জন্য জমা দেননি।

সেই দিনই সকালে আপিল বিভাগের সদ্য অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক অবসরের পর তার লেখা পূর্ণাঙ্গ রায় ও আদেশ গ্রহণ করতে প্রধান বিচারপতিকে চিঠি দেন। এরপর থেকে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে মানিকের নতুন করে তিক্ততা তৈরি হয়।

এর আগে গত বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এস কে) সিনহার বিরুদ্ধে সংবিধান লঙ্ঘন, শপথভঙ্গ ও অসদাচরণের অভিযোগ এনে তার অভিসংশন চেয়ে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের কাছে চিঠি লেখেন বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক। তবে আপিল বিভাগ কোনো চিঠি পায়নি বলে জানানো হয়।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত