সিওমেক প্রতিনিধি

২৪ মার্চ, ২০১৬ ১৬:১৮

তনু হত্যার বিচারের দাবিতে ওসমানী মেডিকেল শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের ইতিহাস বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী, সোহাগী জাহান তনু হত্যার বিচারের দাবিতে সারা দেশের ন্যায় সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ (সিওমেক) শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে মানববন্ধন এবং প্রতিবাদ মিছিলের অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নেয় সিওমেকের সর্বস্তরের ছাত্র ছাত্রী।

বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) দুপুর বারোটায় সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে একে একে জড়ো হতে থাকেন তারা। এসময় তাদের হাতে ছিলো ধর্ষণকারীদের দ্রুত বিচারের দাবি নিয়ে লিখিত বিভিন্ন ব্যানার আর প্ল্যাকার্ড। পরে তারা সড়কের দুই পাশে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে মানববন্ধন করেন। দেড়ঘন্টা ব্যাপী এই মানববন্ধন থেকে ধর্ষণকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতার সহ দ্রুত বিচারের আওতায় আনার দাবী জানানো হয়।

উল্লেখ্য, সোহাগী জাহান তনু কুমিল্লার তিতাস উপজেলার বাসিন্দা ইয়ার হোসেনের মেয়ে। তনুর বাবা ময়নামতি সেনানিবাস এলাকায় অলিপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী। সেই সুবাদে তনুরা অনেক দিন ধরেই অলিপুর এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করে আসছে। দুই ভাই এক বোনের মধ্যে তনু মেজ। পারিবারিক অসচ্ছলতার কারণে তনু পড়াশোনার পাশাপাশি বাসার কাছে অলিপুর গ্রামেই এক বাসায় টিউশনি করে লেখাপড়ার খরচ চালিয়ে আসছিলেন।

প্রতিদিনের মত রোববার (২০ শে মার্চ) বিকালেও টিউশনি করার জন্য বাসা থেকে বের হয় তনু। বাসায় ফিরতে দেরি হওয়ায় পরিবারের সদস্যরা তার সাথে যোগাযোগ করতে চাইলে তনুর মোবাইল বন্ধ পান। পরে তার টিউশন থেকে বাসায় যোগাযোগ করলে জানা যায়, সে রাত ৮টায় বাসার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়।

এই খবর পাওয়ার পর তার বাবা তাকে খুঁজতে বাসা থেকে বের হয়।

একপর্যায়ে খুঁজতে খুঁজতে অলিপুর কালো ট্যাঙ্কি নামক স্থানে রাস্তায় তনুর জুতা দেখতে পায়। এর পর একে একে ছেড়া চুল, ছেড়া ওড়না রাস্তার পাশে ঝোঁপের ভিতরে বন্ধ মোবাইল সহ মাথা থেঁতলানো লাশ পায়।

পরে আর.পি সদস্যরা এসে লাশ সি.এম.এইচ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সোমবার সকালে লাশ কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে স্থানান্তর করা হয়।

মেডিকেল রিপোর্টে জানা যায়, তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত