সিলেটটুডে ডেস্ক

০২ এপ্রিল, ২০১৬ ১৮:৪৫

নির্বাচনে পরাজয়ের ‘ক্ষোভে’ দুগ্ধস্নান করে রাজনীতিকে বিদায়!

নির্বাচন পরবর্তী জয়ী প্রার্থী যেমন বিজয় উল্লাস করে প্রতিক্রিয়া দেখান তেমনি পরাজিত প্রার্থীরাও দেখান নানান ধরণের প্রতিক্রিয়া। সেইধারায় টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার অলোয়া ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী রহিজ উদ্দীন আকন্দ পরাজিত হয়ে দুধ দিয়ে গোসল করে পবিত্র হয়ে চলে এসেছেন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে।

মাত্র ১৪৯ ভোটের ব্যবধানে রহিজ পরাজিত হন নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত নরুল ইসলামের কাছে। আর এতে অনেকটা ক্ষোভ আর দুঃখে দুধ গোসলের মাধ্যমে রাজনীতি থেকে চিরবিদায় ও ভবিষ্যতে নির্বাচন না করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন সদ্য বহিস্কৃত ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি রহিজ উদ্দিন আকন্দ।

রহিজ উদ্দীন বলেন, 'বিগত ৫ বছর এই অলোয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করি। দায়িত্ব পালনকালে দু দুবার উপজেলার শ্রেষ্ঠ ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হই। গত নির্বাচনেও জনপ্রিয়তা থাকার পরও আমাকে দল মনোনয়ন না দিলেও, আমি আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলাম। সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনে দল আমাকে মনোনয়ন না দিয়ে দেয় ঠিকাদার নুরুল ইসলামকে। নেতা-কর্মীদের চাপে এই নির্বাচনেও নিজে থেকেই নির্বাচনে অংশ নিতে হয়। মাত্র ১৪৯ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছি। তিনি পেয়েছেন ৫০৩৯ ভোট আর আমাকে দেখানো হয়েছে ৪৮৯০ ভোট। ভোটের ব্যবধান অনেক বেশি হলে মানতাম আমি অযোগ্য। আমাকে হারানো হয়েছে, এ পরাজয় মেনে নিতে পারছি না। তাই আমি ক্ষোভে দুধ দিয়ে গোসলের মাধ্যমে রাজনীতি থেকে চিরবিদায় ও ভবিষ্যতে নির্বাচন না করার ঘোষণা দিয়েছি। দুধ দিয়ে গোসল করে পবিত্র হলাম। নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়বো। আর যতটুকু পাড়ি জনগণের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখবো '।

ভূঞাপুর উপজেলার সর্বত্রই এখন আলোচনায় রহিজ উদ্দীনের দুধ গোসলের ঘটনা। উপজেলার আওয়ামী লীগের নেতারা মনে করছেন, এটি সাময়িক ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ মাত্র। যদিও রহিজ উদ্দীনের অনুসারীরা বলছেন, তিনি এক কথার মানুষ। আর সাধারণ মানুষ মনে করছেন, রাজনীতির শেষ বলে কিছু নেই।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত