সিলেটটুডে ডেস্ক

২৩ এপ্রিল, ২০১৬ ০৯:৪২

রাবি শিক্ষককে গলা কেটে হত্যা

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক এ এফ এম রেজাউল করিম সিদ্দিকীকে (৫৮) গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। আজ শনিবার সকাল সাড়ে সাতটার দিকে মহানগরের শালবাগান এলাকায় নিজের বাসার কাছে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।

রেজাউল করিমের ভাই সাজিদুল করিম সিদ্দিকী জানান, আজ সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস ধরতে রেজাউল করিম বাসা থেকে বের হন। সকাল ৭টা ৪০ মিনিটে ছাড়ে ওই বাস। কিন্তু সেখানে পৌঁছানোর আগেই বাসা থেকে একটু দূরে আরেকটি বাসার মেইন গেটের সামনে রেজাউল করিমের গলাকাটা লাশ পড়ে থাকতে দেখা যায়।

সাজিদুল করিম বলেন, অধ্যাপক রেজাউল ‘কোমলগান্ধার’ নামে একটি সাহিত্য পত্রিকার সম্পাদক এবং ‘সুন্দরম’ নামে একটি সাংস্কৃতিক সংগঠনের উপদেষ্টা ছিলেন।  

তার ভাইকে কেউ কখনও কোনো ধরনের হুমকি দিয়েছিল কি না, তা জানাতে পারেনি তিনি।

‘সুন্দরম’ এর সভাপতি হাসান জাবের জানান, “স্যার খুব ভালো সেতার বাজাতেন। তিনি শালবাগানে একটি গানের স্কুল প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছিলেন।”

সাজিদুল করিম নাটোরের সিংড়া থানার শিক্ষা কর্মকর্তা। ভাই রেজাউল করিমসহ তাঁরা ২৬১ শালবাগান (সপুরা) এলাকায় পৈতৃক বাড়িতে একসঙ্গে বাস করছেন। সকালে তিনিও বাসা থেকে কর্মস্থলের দিকে রওনা হন। শালবাগান রেলগেটে যাওয়ার পর তাঁর (সাজিদুল) স্ত্রী ফোন করে তাঁকে ভাই খুন হওয়ার খবর জানান।

ঘটনাস্থলে রেজাউল করিমের লাশটি উপুড় হয়ে পড়ে থাকতে দেখা গেছে। তাঁর গায়ে ছিল সাদা শার্ট, পরনে প্যান্ট, পায়ে স্যান্ডেল।

বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদাত হোসেন খানসহ পুলিশের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে রয়েছেন। লাশ উদ্ধার ও ময়নাতদন্তের প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তারা।

এর আগে ২০১৪ সালের ১৫ নভেম্বর দুপুরে খুন হন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক এ কে এম শফিউল ইসলাম। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে ফেরার পথে বিশ্ববিদ্যালয়সংলগ্ন চৌদ্দপাই এলাকায় নিজ বাসার সামনে দুর্বৃত্তদের হামলায় তিনি গুরুতর আহত হন। পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কিছুক্ষণ পর কর্তব্যরত চিকিৎসা কর্মকর্তা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনার পাঁচ ঘণ্টার মাথায় সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে ‘আনসার আল ইসলাম বাংলাদেশ-২’ নামের একটি পেজ খুলে এই হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে স্ট্যাটাস দেওয়া হয়।

এরও বেশ আগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও দুজন শিক্ষক খুন হন। ২০০৪ সালের ২৪ ডিসেম্বর ভোরে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস সংলগ্ন বিনোদপুর এলাকায় কুপিয়ে হত্যা করা হয় অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ ইউনুসকে।

২০০৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের আবাসিক এলাকা থেকে নিখোঁজ হন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক এস তাহের। দুই দিন পর ক্যাম্পাসের বাসার পাশের ম্যানহোলের ভেতরে তাঁর লাশ পাওয়া যায়।

 

আপনার মন্তব্য

আলোচিত