সিলেটটুডে ডেস্ক

২৯ এপ্রিল, ২০১৬ ২৩:১৪

বাড়ছে সিম নিবন্ধনের সময়!

নির্ধারিত সময় শেষে প্রায় চার কোটি সিম ও রিম বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে পুনঃনিবন্ধন বাকি থাকায় এই কার্যক্রমের জন্য সময় বাড়াচ্ছে সরকার! মোবাইল ফোন অপারেটরদের পক্ষ থেকে এক মাস সময় চাওয়া হলেও তা ১৫ দিন বাড়ানো হতে পারে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।

গত বছরের ১৬ ডিসেম্বর সিম পুনঃনিবন্ধন কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরুর পর সাড়ে চার মাসে নির্ধারিত সময় ৩০ এপ্রিলের অাগের দিন পর্যন্ত ৮ কোটি সিম নিবন্ধন ছাড়িয়ে গেছে বলে জানান ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।

সিম নিবন্ধনের শেষ দিনের আগের দিন শুক্রবার (২৯ এপ্রিল) সাংবাদিকদের কাছে এ কার্যক্রমের সময় বাড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী।

নারায়ণগঞ্জ একটি অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রতিমন্ত্রী জানান, মুঠোফোন অপারেটরদের সার্ভারে ত্রুটির কারণে নিবন্ধনে সমস্যা হচ্ছে। যে কারণে অনেকেই নিবন্ধন করতে পারছেন না। নিবন্ধনের সময় বাড়ানো হবে কিনা সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি ‘না’ বলেননি।

এর আগে বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে অবশ্য সাংবাদিকদের প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘মুঠোফোন অপারেটররা কী চাইলো তা দেখার বিষয় নয়। জনগণ চাইলে অবশ্যই সময় বাড়ানোর বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।’ শুক্রবার ‘সার্ভারের সমস্যার’ কারণে অনেকে নিবন্ধন করতে গিয়েও ফিরে আসছেন। বাইরের আবহাওয়াও বেশ তপ্ত। যারা ফিরে আসছেন তারা আজ আবারও নিবন্ধনের চেষ্টা করবেন, এমন সম্ভাবনা কম। 

ঘোষণা অনুযায়ী, ৩০ এপ্রিল রাত ১০টা পর্যন্ত অপারেটরদের কাস্টমার কেয়ার সেন্টার ও রিটেইলার পয়েন্ট এবং এনআডি প্রধান অফিসসহ আঞ্চলিক অফিসগুলো খোলা থাকছে।

পুনঃনিবন্ধনের সময় বাড়ছে কিনা, এ বিষয়ে শনিবার (৩০ এপ্রিল) বিকেল ৫টায় বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) ভবনে সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণা দেবেন প্রতিমন্ত্রী। এদিকে, পুনঃনিবন্ধনের শেষ সময়ে চাপ পড়ায় ভোগান্তিতে পড়েন গ্রাহকরা।

অপারেটররা দাবি করছে, অতিরিক্ত চাপে এনআইডি (জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ) সার্ভার ডাউন হওয়ার কারণে ঠিকমতো রিপ্লাই আসছে না। আর এনআইডি বলছে, সার্ভার ডাউন হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।

বিপরীতমুখী বক্তব্যে শুক্রবার বিকেলে আগারগাঁওয়ে এনআইডি অফিসে প্রতিমন্ত্রী এনআইডি কর্তৃপক্ষ এবং মোবাইল অপারেটরদের সঙ্গে বৈঠক করেন তারানা হালিম। বিকেলের ওই বৈঠকে একটি বেসরকারি অপারেটরের পক্ষ থেকে জানানো হয় ২৮ হাজার সিমের আবেদন পেন্ডিং অবস্থায় আছে।

এছাড়া ১ কোটি ২২ লাখ গ্রাহকের আঙ্গুলের ছাপ আংশিক না মেলায় সেগুলো পেন্ডিং অবস্থায় রয়েছে। এসব সমস্যা দ্রুত কাটিয়ে উঠতে অপারেটরদের সার্ভার এনআইডি এবং এনআইডির সার্ভার অপারেটরদের দেখার পরামর্শ দেন প্রতিমন্ত্রী।

বিটিআরসির সর্বশেষ মার্চ মাসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশে বর্তমানে মোবাইল ফোনের গ্রাহক সংখ্যা ১৩ কোটি ৮ লাখ ৮১ হাজার।

বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধনে গ্রাহকদের পুরনো সিম আঙ্গুলের ছাপ দিয়ে নিবন্ধন করতে হচ্ছে, নতুন সিমের ক্ষেত্রে আঙ্গুলের ছাপ বাধ্যতামূলক। এই প্রক্রিয়ায় আঙ্গুলের ছাপ বায়োমেট্রিক ডিভাইসের মাধ্যমে এনআইডি সার্ভারে যাওয়ার পর সেখান থেকে সাড় পেলেই সেই সিমটি নিবন্ধন করা যাচ্ছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত