সিলেটটুডে ডেস্ক

৩০ জুলাই, ২০১৬ ১৫:০৬

সিলেটের তামিমসহ ৫ জঙ্গি পালিয়ে আছে ভারতে

রাজধানীর গুলশানে হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় জঙ্গি হামলার মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে সন্দেহভাজন তামিম আহমেদ চৌধুরী সহ জামায়াতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি)-এর পাঁচ সদস্য বাংলাদেশ থেকে ভারতে পালিয়ে গিয়ে থাকতে পারে বলে জানিয়েছে দেশটির প্রভাবশালী পত্রিকা টাইমস অব ইন্ডিয়া।

সম্প্রতি র‌্যাবের পক্ষ থেকে ভারতকে দেওয়া সন্ত্রাসীদের তালিকায় এই পাঁচজনের নাম রয়েছে।

বৃহস্পতিবার ভারত সফররত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল নয়া দিল্লিতে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে এক বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা করেছেন। এসব জঙ্গির বিষয়ে আলোচনা ছাড়াও দেশটিতে গ্রেপ্তার সন্দেহভাজন জেএমবি সদস্য নুরুল হক মণ্ডল ওরফে নাইমকে ফেরত দেওয়ার অনুরোধ জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

কয়েকদিন আগে ২০১১ সাল থেকে নিখোঁজ বাংলাদেশিদের সংশোধিত ৬৮ জনের একটি তালিকা তৈরি করে র‌্যাব। এদের সবার বয়স ১৫ থেকে ৪০ এর মধ্যে। তাদের মধ্যে অন্তত পাঁচজন গুলশান হামলার পর ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, আসাম ও মেঘালয়ে পালিয়ে গিয়ে থাকতে পারে। পত্রিকার খবরে আরো বলা হয়, দুই মাস আগে আসাম পুলিশ রাজ্যের চিরাংয়ে একটি জেএমবি ঘাঁটির সন্ধান পায় যেখানে স্থানীয় যুবকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হতো।

টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়, পাঁচ সন্দেহভাজনের মধ্যে সিলেটে জন্মগ্রহণকারী কানাডীয় নাগরিক তামিম চৌধুরী অন্যতম। তাকে গুলশান হামলার মূল পরিকল্পনাকারী বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। তামিম চৌধুরী আবু ইব্রাহিম আল হানিফ চৌধুরী নামেও পরিচিত।

খবরে বলা হয়, ২০১৬ সালে আইএসের ম্যাগাজিন দাবিক-এ তার একটি সাক্ষাৎকার প্রকাশিত হয়েছিল। ২০১৩ সালে অবশ্য তিনি কানাডা থেকে বাংলাদেশে ফিরে আসেন। তাকে আইএসের বাংলাদেশ সমন্বয়ক হিসেবে ধারণা করা হচ্ছে।

সন্দেহভাজনের তালিকায় থাকা আরেকজন নাজিবুল্লাহ আনসারি। তার বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ। মালয়েশিয়ায় মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়াশোনা করেন তিনি। গত বছর আইএসে যোগ দিতে ইরাকে যাওয়ার কথা জানিয়ে ভাইকে চিঠি লেখার পর চট্টগ্রাম পুলিশ স্টেশনে তাকে নিখোঁজ দেখিয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) দায়ের করা হয় পরিবারের পক্ষ থেকে।

জুনুন শিকদার নামে অপর এক সন্দেহভাজনের বাড়ি কুমিল্লায়। রাজধানীর একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার বিজ্ঞানে অধ্যয়নরত অবস্থায় ২০১৩ সালে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে গ্রেপ্তার হন তিনি। পরে জামিন নিয়ে মালয়েশিয়ায় চলে যান জুনুন। ২০০৯ সালেও একবার গ্রেপ্তার হয়েছিলেন তিনি।

একবছর ধরে নিখোঁজ রয়েছেন জাপানের এশিয়া প্যাসিফিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ ওজাকি ওরফে সুজিত দেবনাথ। পরে তার বাবা জনার্দন দেবনাথ নবীনগরে একটি জিডি করেন।

এ ছাড়া এ টি এম তাজউদ্দিন নামের আরেক সন্দেহভাজন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়াশোনারত অবস্থায় নিখোঁজ হন। চলতি মাসের শুরুর দিকে লক্ষ্মীপুর সদর থানায় তাকে নিখোঁজ দেখিয়ে জিডি করা হয়।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত