০৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ১৬:৫৭
যুদ্ধাপরাধের অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীর ফাঁসি কার্যকর করতে সরকারের নির্বাহী আদেশ পৌঁছেছে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে।
কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এর জেলার নাশির আহমেদ বলেন, “শনিবার দুপুরের পর সরকারের আদেশ আমাদের হাতে পৌঁছেছে।”
তবে একাত্তরের বদর নেতা কাসেমের ফাঁসি কখন কার্যকর হবে সে বিষয়ে কোনো তথ্য তিনি দেননি।
এতিকে, মীর কাসেম আলীর সঙ্গে শেষ সাক্ষাতের জন্য কাশিমপুর কারাগারে পৌঁছেছেন তার পরিবারের সদস্য ও স্বজনরা। শনিবার বেলা সাড়ে ৩টার ছয়টি মাইক্রোবাসে করে মীর কাসেমের স্ত্রী, মেয়ে, পুত্রবধূসহ অন্য আত্মীয়-স্বজনরা মোট ৪৫ জন কাশিমপুর কারাগারে পৌঁছান।
তবে তাদের মধ্যে কতজনকে শেষ পর্যন্ত কাসেমের সঙ্গে দেখা করার জন্য ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে, তা জানা যায়নি।
সব বিচারিক প্রক্রিয়ার নিষ্পত্তি হওয়ায় কৃতকর্মের জন্য অনুশোচনা প্রকাশ করে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাওয়াই ছিল জামায়াতের অর্থ যোগানদাতা হিসেবে পরিচিত মীর কাসেমের প্রাণ বাঁচানোর শেষ সুযোগ।
তিনি সেই সুযোগ নেবেন না বলে শুক্রবার জানিয়ে দিলে কারা কর্তৃপক্ষ তার পরিবারকে শনিবার বিকাল সাড়ে ৩টায় সাক্ষাতের সময় দেয়।
এরপর বেলা সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকার মনিপুরের বাসা থেকে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারের উদ্দেশে রওনা হন কাসেমের স্বজনরা।
এর আগে যুদ্ধাপরাধে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল কাদের মোল্লা ও মুহাম্মদ কামারুজ্জামান, সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী এবং জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামীর ফাঁসি কার্যকর করেছে কারা কর্তৃপক্ষ।
জামায়াতের মজলিসে শুরা সদস্য মীর কাসেমকে একাত্তরে যুদ্ধাপরাধের দায়ে ২০১৪ সালে মৃত্যুদণ্ড দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। চলতি বছর মার্চে আপিল বিভাগেও সেই রায় বহাল থাকায় তিনি রিভিউ আবেদন করেন।
আপিল বিভাগ গত মঙ্গলবার রিভিউ আবেদন খারিজ করে দিলে কাসেমের মামলার সব বিচারিক প্রক্রিয়ার পরিসমাপ্তি ঘটে।
তেষট্টি বছর বয়সী মীর কাসেম হলেন ষষ্ঠ যুদ্ধাপরাধী, যার সর্বোচ্চ সাজার রায় কার্যকরের পর্যায়ে এসেছে।
আপনার মন্তব্য