সিলেটটুডে ডেস্ক

১৫ জানুয়ারি, ২০১৭ ১২:২৬

শান্তি ও কল্যাণ কামনায় আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হলো ইজতেমার ১ম পর্ব

ফাইল ছবি

মুসলিম উম্মাহর সুদৃঢ় ঐক্য, দুনিয়া ও আখেরাতের শান্তি এবং দেশের কল্যাণ কামনা করে আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে তাবলিগ জামাত আয়োজিত বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব।

রোববার (১৫ জানুয়ারি) সকাল ১১টা থেকে প্রায় ৩৫ মিনিটব্যাপী এ মোনাজাত পরিচালনা করেন তাবলিগ জামাতের শীর্ষস্থানীয় মুরুব্বি দিল্লির মাওলানা মোহাম্মদ সাদ। আরবি ও উর্দু ভাষায় এ মোনাজাত করেন তিনি।

আখেরি মোনাজাতে আত্মশুদ্ধি ও নিজ নিজ গুণাহ মাফের পাশাপাশি দুনিয়ার সব বালা-মুসিবত থেকে হেফাজত চেয়ে দুই হাত তুলে মহান আল্লাহর দরবারে রহমত প্রার্থনা করেন মুসল্লিরা। মোনাজাতের সময় লাখো মুসল্লির কণ্ঠে 'আমিন, আল্লাহুম্মা আমিন' ধ্বনিতে মুখর হয়ে ওঠে টঙ্গীর তুরাগ তীর।

রোববার ভোর থেকে চলে দিক-নির্দেশনামূলক বয়ান। ভোর থেকেই তীব্র শীত উপেক্ষা করে আগতরা ফজরের নামাজ ও আখেরি মোনাজাতের জন্য পুরানো খবরের কাগজ, পাটি, সিমেন্টের বস্তা ও পলিথিন বিছিয়ে বসে পড়েন। এরপর লাখ লাখ মুসল্লির অংশগ্রহণে বেলা ১১টা ১ মিনিটে শুরু হয় বহুল প্রতীক্ষিত আখেরি মোনাজাত। যে যেখানে ছিলেন, সেখানে দাঁড়িয়ে কিংবা বসে হাত তোলেন আল্লাহর দরবারে। মোনাজাতে কান্নায় বুক ভাসান অনেকে।

প্রায় ৩৫ মিনিটের মোনাজাতে মাওলানা সাদ প্রথম ১০ মিনিট পবিত্র কোরআনে বর্ণিত দোয়ার আয়াতগুলো উচ্চারণ করেন। আর শেষ ২৫ মিনিট দোয়া করেন উর্দু ভাষায়।

মুঠোফোন ও স্যাটেলাইট টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচারের সুবাদে দেশ-বিদেশের আরও লাখো মানুষ ইজতেমা মাঠে না থেকেও অংশ নেন মোনাজাতে। অনেকে বিমানবন্দর গোল চত্বর আর উত্তরা থেকে আখেরি মোনাজাতে অংশ নেন। এছাড়া পার্শ্ববর্তী বাসা-বাড়ি, কলকারখানা, অফিস, দোকানের ছাঁদে, যানবাহনের ছাঁদে ও তুরাগ নদীতে নৌকায় মুসল্লিরা অবস্থান নেন।

আখেরি মোনাজাত উপলক্ষ্যে রাজধানী ঢাকার কিছু এলাকা ছিল প্রায় ফাঁকা। টঙ্গী, গাজীপুর, উত্তরাসহ চারপাশের এলাকার সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কলকারখানা, মার্কেট, বিপণীবিতান, অফিসসহ সবকিছু ছিল বন্ধ।

চার দিন বিরতি দিয়ে আগামী ২০ জানুয়ারি শুক্রবার থেকে শুরু হবে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব। ২২ জানুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হবে এ বছরের বিশ্ব ইজতেমা।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত