সিলেটটুডে ডেস্ক

২৬ জানুয়ারি, ২০১৭ ০০:২৪

‘সুন্দরবন রক্ষার’ আজ ঢাকায় অর্ধদিবস হরতাল

 সুন্দরবনের পাশে রামপালে বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার দাবিতে আজ (বৃহস্পতিবার) ভোর ৬ টা থেকে দুপুর ২ টা পর্যন্ত হরতাল পালন করবে তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি। গত ২৬ নভেম্বর শহীদ মিনারের সমাবেশ থেকে এ কর্মসূচি ডাকা হয়েছিল। হরতাল সফলে ইতোমধ্যে প্রস্তুতি শেষ করে এনেছে জাতীয় কমিটির সদস্যভুক্ত বামদলগুলো।

তবে সুন্দরবন ইস্যুতে জাতীয় কমিটির সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করা সরকারিজোটের শরিক বেসরকারি বিমান ও পর্যটন বিষয়ক মন্ত্রী রাশেদ খান মেননের ওয়ার্কার্স পার্টি এই হরতালে নেই।

সরকারের পক্ষ থেকে বারবার রামপালে বিদ্যুকেন্দ্র স্থাপনে পরিবেশের কোনও ক্ষতি সাধন হবে না বলে জানানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও একাধিকবার জাতীয় কমিটির আন্দোলনের সমালোচনা করেছেন।

জাতীয় কমিটির ডাকা হরতাল কর্মসূচিতে ইতোমধ্যে সমর্থন দিয়েছে বিএনপি। এর বাইরে গণতান্ত্রিক বাম মোর্চা, ছাত্রদলসহ কয়েকটি সংগঠন বিবৃতি দিয়ে সমর্থন ব্যক্ত করেছে।
এদিকে হরতালের প্রস্তুতি প্রায় শেষ করে এনেছে জাতীয় কমিটির শরিক দলগুলো। ইতোমধ্যে গণসংহতি আন্দোলন সারা সপ্তাহে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে লিফলেট বিতরণ, ব্যানারসহ প্রচারণা চালিয়েছে।

জাতীয় কমিটির একটি সূত্র জানায়, হরতাল সফল করতে রাজধানীর কয়েকটি স্থানে পিকেটিংয়ের প্রস্তুতি  আছে তাদের। এর মধ্যে পল্টন, প্রেসক্লাব, মতিঝিল, শাহবাগ, মিরপুর ১ ও ১০, সূত্রাপুর, বাহাদুর শাহ পার্ক,আজিমপুর বাসস্ট্যান্ড অন্যতম। এই স্থানগুলোতে জাতীয় কমিটির শরিক দলের ছাত্রসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত থেকে পিকেটিং করবেন।

জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক প্রকৌশলী শেখ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ বলেন, ‘বৃহস্পতিবারের হারতাল ক্ষমতার সংকীর্ণ সংঘাতে সম্পদ ধ্বংসের নয়, বরং সম্পদ রক্ষা-সম্পদ সৃষ্টি ও বাংলাদেশ রক্ষার। এই হরতাল জ্বালাও-পোড়াও নয়, মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের। ঢাকা মহানগরীর সকল প্রতিষ্ঠান, যান্ত্রিক পরিবহন ও ব্যক্তিগত কাজ বৃহস্পতিবার বেলা দুটা পর্যন্ত বন্ধ রেখে, শান্তিপূর্ণভাবে হরতাল পালন করে সুন্দরবন রক্ষা আন্দোলনে শরিক হতে আমি ঢাকাবাসীর প্রতি আহ্বান জানাই।’

জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘গত সাত বছর ধরে সুন্দরবন বিনাশী রামপাল কয়লা প্রকল্প বাতিলসহ বিদ্যুৎ ও গ্যাস সমস্যা সমাধানের জন্য সাত দফা বাস্তবায়নে আমরা লংমার্চ, প্রতিবাদ-বিক্ষোভ, মহাসমাবেশসহ নানা কর্মসূচি পালন করেছি। কিন্তু  সরকার এই প্রকল্প বাতিল না করে উল্টো সুন্দরবনের জন্য ক্ষতিকর নানা তৎপরতা চালাচ্ছে। তাই আমরা বাধ্য হয়ে হরতাল পালনের কর্মসূচি দিয়েছি।’


রামপাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুকেন্দ্র প্রকল্প বাতিলের দাবিতে তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির ডাকা হরতালে  সমর্থন জানিয়েছেন ছাত্রদল। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী  ছাত্রদলের সভাপতি রাজিব আহসান ও সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান বুধবার এ সমর্থনের কথা জানিয়েছেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত