০৪ জুন, ২০১৫ ১২:১৬
ব্লগার আহমেদ রাজীব হায়দার খুন হওয়ার আগের দিন এক আসামিকে তাদের বাড়িতে ঢুকতে দেখেছিলেন বলে জানিয়েছেন সাক্ষী কাজী গালিবুল ইসলাম।
নিহতের খালাত ভাই গালিব মঙ্গলবার ঢাকার তিন নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দেন। জবানবন্দি শেষ তার জেরা শেষ হওয়ার আগেই বিচারক সাঈদ আহম্মেদ ১০ জুন পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করেন।
গালিব এই মামলার দ্বিতীয় সাক্ষী। এর আগে আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছিলেন রাজীবের বাবা মামলার বাদী নাজিম উদ্দিন।
গালিব বলেন, “আমি ঘটনার আগের দিন আমাদের বাসার ভেতরে এদের (আসামিদের) মধ্যে একজনকে ক্রিকেট বল নেওয়ার জন্য ঢুকতে দেখি। পরে দেখি ডিবির কার্যালয়ে।”
গণজাগরণমঞ্চের কর্মী রাজীবকে ২০১৩ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি রাতে মিরপুরের কালসীতে তার ভাড়া বাসার সামনে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত অভিযোগে ঢাকার নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাত ছাত্রকে গ্রেপ্তারের পর পুলিশ বলেছিল, তারা খুনের আগের দিন ‘রেকি’ করতে রাজীবের বাসায় গিয়েছিল। তখন ক্রিকেট খেলার ছলে বাড়ির ভেতরেও ঢুকেছিল।
জবানবন্দি শেষে গালিবকে জেরা করেন দুই আসামির আইনজীবীরা।
রাজীব হত্যাকাণ্ডের আসামিরা হলেন- ঢাকার খিলক্ষেত চৌধুরীপাড়ার মো. ফয়সাল বিন নাঈম দীপ (২২), ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার পোড়াপাড়া গ্রামের মো. এহসান রেজা রুম্মান (২৩), ঢাকার কেরাণীগঞ্জ থানার ধলেশ্বর গ্রামের মাকসুদুল হাসান অনিক (২৩), ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কলেজপাড়া এলাকার নাঈম ইরাদ (১৯), চট্টগ্রাম জেলার সন্দ্বীপ থানার হারামিয়া গ্রামের নাফিজ ইমতিয়াজ (২২), ঢাকার কলাবাগান থানার ভুতেরগলির সাদমান ইয়াছির মাহমুদ (২০) ও ফেনী জেলার দাগনভূঁইয়া থানার জয়লস্করের রেদোয়ানুল আজাদ রানা(৩০) এবং আনসারুল্লাহ বাংলা টীমের প্রধান মুফতি জসীম উদ্দিন রাহমানী।
এদের মধ্যে রানা পলাতক। রানা নর্থ সাউথের সাবেক ছাত্র বলে পুলিশ জানিয়েছে। অন্য সবাই ছাত্র ছিল, তবে রাজীব হত্যাকাণ্ডে গ্রেপ্তার হওয়ার পর তাদের বহিষ্কার করা হয়।
ব্লগে লেখালেখির কারণে ক্ষিপ্ত হয়ে রাজীবকে খুন করা হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে। আর খুনিরা জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ প্রধান মুফতী জসীম দ্বারা প্ররোচিত বলে অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে।
আপনার মন্তব্য