সিলেটটুডে ডেস্ক

৩০ জানুয়ারি, ২০১৮ ২১:৪৬

সরস্বতীকে নিয়ে ‘কটূক্তি’: আনিস আলমগীরের বিরুদ্ধে মামলা

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগে সাংবাদিক আনিস আলমগীরের বিরুদ্ধে তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় মামলা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক সাইফুল ইসলাম মামলাটি এজাহার হিসেবে গণ্য করে তদন্তের জন্য ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দিয়েছেন।

আইনজীবী সুশান্ত কুমার বসু মঙ্গলবার বাদী হয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় দৈনিক মানবকণ্ঠের সাবেক সম্পাদক আনিস আলমগীরের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন।

আদালতের সরকারির কৌঁসুলি নজরুল ইসলাম বলেন, হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগে সাংবাদিক আনিস আলমগীরের বিরুদ্ধে করা মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে বলেছেন আদালত।

মামলায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের কাছে মা সরস্বতী বিদ্যা ও জ্ঞানের অধিষ্ঠাত্রী দেবী হিসেবে পূজিত হন। অনাদিকাল থেকে হিন্দুদের ঘরে ও উপাসনালয়ে প্রতিবছর ত্রিপঞ্চমীর শুভ তিথিতে শ্রদ্ধা ও ভক্তিতে এ দেবী পূজিত হয়ে আসছেন। সাংবাদিক আনিস আলমগীর এ ব্যাপারে সম্পূর্ণরূপে জ্ঞাত থাকা সত্ত্বেও সাম্প্রদায়িক দোষে দুষ্ট হয়ে শুধু ধর্মীয় বিদ্বেষ, সাম্প্রদায়িক উসকানি, আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গ ও অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির জন্য ইচ্ছাকৃতভাবে ফেসবুকে আপত্তিকর পোস্ট দেন। ২২ জানুয়ারি সরস্বতী পূজার দিন সরস্বতী দেবীকে নিয়ে তিনি ওই পোস্ট দেন। এতে তিনি হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় অনুভূতিকে মারাত্মকভাবে আঘাত করেছেন। ওই পোস্টের মাধ্যমে তিনি স্বরূপে আবির্ভূত হয়ে প্রকারান্তরে বকধার্মিক ও ছদ্মবেশী প্রগতিশীল চেহারা জনসমক্ষে প্রকাশ করেছেন।

এরআগে, গত ২৫ জানুয়ারি শাহবাগ থানায় শ্রী শ্রী রমনা কালী মন্দির ও শ্রী আনন্দময়ী আশ্রমের যুগ্ম-সম্পাদক আনিস আলমগীরের বিরুদ্ধে একটি জিডি করেন। ওই জিডিতে অভিযোগ করা হয়েছে, সাংবাদিক আনিস আলমগীর ২২ জানুয়ারি ৩টা ৩২মিনিটে সনাতন ধর্মের বিদ্যার দেবী সরস্বতীকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেন। এ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় নিন্দা জানানো হয়েছে। কিন্তু তিনি ক্ষমা বা ভুল স্বীকার না করে ফেসবুকে সাম্প্রদায়িক ও উসকানিমূলক পোস্ট দেন।

জিডিতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য উসকানিমূলক বক্তব্যের বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপের দাবি জানানো হয়েছে। শাহবাগ থানার ওই জিডি তদন্তাধীন রয়েছে।

এদিকে, ২৩ ও ২৬ জানুয়ারি একাধিক স্ট্যাটাসে আনিস আলমগীর লিখেছেন, সরস্বতী দেবী নিয়ে আমার ফেসবুক স্ট্যাটাসে আপনাদের যাদের যাদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লেগেছে, আমি তাদের কাছে ক্ষমা প্রার্থী।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত