সিলেটটুডে ডেস্ক

১১ ফেব্রুয়ারি , ২০১৮ ১৪:৫৭

কেন্দ্র থেকে হলে যাওয়ার সময় প্রশ্নফাঁস হয় : দাবি ডিবির

পরীক্ষার কেন্দ্র থেকে হলে যাওয়ার সময়টাতে অসাধু কেউ এসব প্রশ্নের ছবি তুলে ফাঁস করে বলে দাবি করেছেন মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) যুগ্ম কমিশনার আবদুল বাতেন।

রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ডিবির যুগ্ম কমিশনার আব্দুল বাতেন এ দাবি করেন।

শনিবার (১০ জানুয়ারি) রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগে আটক ১৪ জনের বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর আবদুল বাতেন বলেন, আসামিরা পরীক্ষার আগের দিন ভুয়া প্রশ্নপত্র ফাঁস করে শিক্ষার্থীদের আস্থা অর্জন করে। পরেরদিন পরীক্ষা শুরুর ৩০-৪০ মিনিট আগে কেন্দ্র থেকে বিভিন্নভাবে প্রশ্ন সংগ্রহ করে। সেগুলো ফেসবুক ম্যাসেঞ্জার, ইমো এবং হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ থেকে শিক্ষার্থীদের কাছে এগুলো ছড়িয়ে দেয়া হয়। এর বিনিময়ে তারা বিকাশ ও রকেটের মাধ্যমে ৫০০ থেকে ২ হাজার টাকা আদায় করে।

আব্দুল বাতেন বলেন, প্রশ্নপত্র সিলগালা থেকে শুরু করে কেন্দ্র পর্যন্ত সাধারণত ফাঁসের কোনো সুযোগ নেই। কেন্দ্রে যাওয়ার পর পরীক্ষা শুরু হওয়ার ৩০-৪০ মিনিট আগে কেন্দ্র সংশ্লিষ্টদের সহায়তায় প্রশ্নফাঁস হয়। তারা মোবাইলে ছবি তুলে বাইরে পাঠান।

'আমি শিওর, এই প্রশ্ন ফাঁসের পর যদি কেউ কেন্দ্র থেকে শিক্ষার্থীকে সহায়তা না করে তাহলে ওই শিক্ষার্থীর বেনিফিট পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। কারণ তখন শিক্ষার্থীরা পরীক্ষার হলেই থাকে। দাবি করেন আব্দুল বাতেন।

আসামিরা হচ্ছেন মো. রাহাত ইসলাম, মো. সালাহউদ্দিন, মো. সুজন, মো. জাহিদ হোসেন, মো. সুফল রায় ওরফে শাওন, মো. আল-আমিন, মো. সাইদুল ইসলাম, মো. আবির ইসলাম নোমান, মো. আমান উল্লাহ, মো. বরকত উল্লাহ, আহসান উল্লাহ, মো. শাহাদাৎ হোসেন ওরফে স্বপন, ফাহিম ইসলাম এবং তাহসিব রহমান।

এদের মধ্যে আমান উল্লাহ, আহসান উল্লাহ এবং বরকত উল্লাহ ৩ ভাই। তারা প্রতিদিন ফেসবুকে ঘোষণা দিয়ে প্রশ্ন ফাঁস করেছে। আহসান সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী।

তাদের কাছ থেকে একটি ল্যাপটপ এবং ২৩ টি স্মার্টফোন এবং ২ লাখ ২ হাজার ৪০০ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।

আসামিরা যাদের কাছ থেকে প্রশ্নপত্র সংগ্রহ করছে সুনির্দিষ্টভাবে কারো নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে কিনা? জানতে চাইলে তিনি বলেন, ওরা শত শত হাজার হাজার চেইন। কখনো চট্টগ্রাম থেকে প্রশ্ন পাঠানো হয়, কখনো আরেক জেলা থেকে। তাদের শনাক্ত করা কঠিন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত